চলছে তল্লাশি। মঙ্গলবার সার্কিট হাউসে তোলা নিজস্ব চিত্র।
মাওবাদীদের ‘শহিদ সপ্তাহ’ চলার মাঝেই আজ, বুধবার পুরুলিয়ায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাতে পুরুলিয়া শহরে তাঁর থাকার কথা। সে জন্য সার্কিট হাউস এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বাংলো প্রস্তুত রেখেছে প্রশাসন। দু’জায়গাতেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি শুরু হয়েছে।
সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে মাওবাদীদের ‘শহিদ সপ্তাহ’। ওই দিনই বান্দোয়ানের একাধিক জায়গায় মাওবাদীদের নামাঙ্কিত পোস্টার ও প্রচারপত্র মিলেছে। তাতে ‘শহিদ সপ্তাহ’ পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া শহরে প্রশাসনিক বৈঠকের পর হুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাও রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেনে পুরুলিয়ায় আসার কথা ছিল। ট্রেনে কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে পুলিশ। তবে, পরে তাঁর যাত্রাপথ বদল হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পুলিশ। তিনি সড়কপথেই পুরুলিয়া আসবেন বলে ঠিক হয়েছে। আইজি পশ্চিমাঞ্চল সিদ্ধিনাথ গুপ্ত বলেন, “মাওবাদীদের শহিদ সপ্তাহ চলছে। তার জন্য যে রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা দরকার, তা রাখা হয়েছে। বান্দোয়ান, অযোধ্যা পাহাড় ইত্যাদি জায়গায় টহল জারি রয়েছে।”
অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগেই সিসিটিভি বসল পুরুলিয়া জেলা পরিষদে। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের এই প্রেক্ষাগৃহেই জেলা প্রশাসনের কর্তা, বিভিন্ন দফতরের অফিসার ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, ওই ভবনের প্রথম তলায় আপাতত পাঁচটি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রকাশ পাল বলেন, “মূলত সিঁড়ির মুখে, বারান্দায়, প্রেক্ষাগৃহের বারান্দায় ও সভাধিপতির চেম্বারের বাইরে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।” নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই সিসিটিভি লাগানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো।