ভরসা যন্ত্রচালিত রিকশা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
বাসকর্মী ও যাত্রীদের একাংশের মধ্যে ঝামেলা এবং মারধরের ঘটনার জেরে দিনভর বাস চলাচল বন্ধ থাকল বোলপুরে। ফলে নাকাল হন দূরদূরান্তের যাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ দিকে, মারধরের ঘটনায় চালক-সহ সাত জন যাত্রী জখম হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর-বর্ধমান রুটের একটি বাসে শনিবার পাথরচাপুড়ি থেকে বেশ কিছু দর্শনার্থী বোলপুরের জামবুনি বাসস্ট্যান্ডে আসেন। অভিযোগ, ওই সময় বাসের চালক ও কর্মী যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। বিষয়টি বচসা থেকে মারধর পর্যন্ত গড়ায়। কংগ্রেসের কংগ্রেসের বাসকর্মচারী সংগঠনের সংগঠনের কর্মীরা চার মহিলা যাত্রীকে হেনস্থা ও মারধর করেন বলে অভিযোগ। আহতদের মধ্যে রয়েছেন থুপসরা অঞ্চলের তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা গুলুনুর বেগম। উভয় পক্ষই বোলপুর থানায় মারধরের অভিযোগ করেন। যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবহণ শ্রমিক কংগ্রেসের সদস্য মীর রহমত আলি ওরফে বিমানকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই খবর চাউর হতেই নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকাল বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ওই সংগঠন। সংগঠনের বোলপুর মহকুমার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদের দাবি, “যাত্রীরা বাসের চালক রামকৃষ্ণ মহন্তকে মারধর করেন। অথচ প্রতিবাদ করায় সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীর নামে জামিন অযোগ্য ধারায় মিথ্যা মামলা করা হল। পুলিশ বেআইনি এক কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে। তাই দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা, বেআইনি ভাবে গ্রেফতার সংগঠনের কর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।” তৃণমূলের বাসকর্মচারী সংগঠনের সভাপতি জানেরুল মল্লিকের দাবি, “যাত্রীদের কথা ভেবে রবিবার সকালের দিকে আমরা বাস চালানোর চেষ্টা করেছিলাম। বাধায় শেষ পর্যন্ত বাস বন্ধ রাখতে হয়েছে।”
এ দিকে, পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতিতে বৈঠক হলেও, কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। বোলপুরের এসডিপিও সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “পরিষেবা স্বাভাবিক করতে সকলের সঙ্গে আলোচনা করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকেও নজর রয়েছে। যারা বাস চালাতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করা হবে।” তবে এ দিন বাস না পেয়ে হয়রানির শিকার হন বোলপুরের শকুন্তলা দেবী, নানুরের শেখ এহসান আলির মতো বহু যাত্রী।