নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে নেমে উল্টে গিয়ে এক যাত্রীবাহী বেসরকারি বাসের প্রায় ৪০ জন যাত্রী জখম হন। এর মধ্যে বোলপুরের বিভিন্ন স্কুলের একাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছেন।
জখম যাত্রীদের ৬ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায়, তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বোলপুর থানার আইসি দেবকুমার রায় বলেন, “বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ৬ জনের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। গাড়িটি উদ্ধার করা হচ্ছে। কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল, পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে।”
পুলিশ ও বাসযাত্রীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থেকে যাত্রী বোঝাই করে দুপুর আড়াইটা নাগাদ বোলপুর-সিঙ্গি রুটের এই বেসরকারি বাসটি রওনা হয়েছিল। সাধারণত বিদ্যালয়-সময়ের পরে দুপুরের দিকে যাওয়ায়, ওই রুটের এই বাসের ওপর আশপাশের বহু ছাত্রছাত্রী নির্ভরশীল। ওই বাসের যাত্রীদের অভিযোগ, বেসরকারি যাত্রীবাহী বাসের চালকের আসনে ছিলেন ওই বাসের খালাসী এবং তিনি মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে বাস চালাচ্ছিলেন। সেই সময়ে সিঙ্গি যাওয়ার পথে উপরখডার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে প্রায় ১৫ ফুট নীচে পড়ে উল্টে যায় যাত্রীবাহী বাসটি।কোনও মতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে বোলপুর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় সকলকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, গুরুতর ভাবে জখম ৬ জনের অবস্থা স্থিতিশীল। হাতে পায়ে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের চোট রয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর চালকের আসনে থাকা খালাসী এবং ওই যাত্রীবাহী বেসরকারি বাসের খালাসী পলাতক। পুলিশ তাদের খোঁজ শুরু করেছে।