বাবার কাছে যাবে, বেরিয়ে হোমে ঠাঁই দুই বোনের

মায়ের উপরে রাগ করে বাবার কাছে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল দুই নাবালিকা। বুধবার বিকালে সাঁওতালডিহি থেকে ট্রেনে চেপে আদ্রা পর্যন্ত চলে এসেছিল দুই বোন। কিন্তু, রাতের দিকে আদ্রা স্টেশনে রেলপুলিশ তাদের উদ্ধার করে তুলে দিয়েছে চাইল্ড লাইনের হাতে। শেষ পর্যন্ত তাদের ঠাঁই হয়েছে পুরুলিয়ার আনন্দমঠ হোমে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আদ্রা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৪ ০০:৪৩
Share:

ঝুমা ও পূর্ণিমা। —নিজস্ব চিত্র।

মায়ের উপরে রাগ করে বাবার কাছে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল দুই নাবালিকা। বুধবার বিকালে সাঁওতালডিহি থেকে ট্রেনে চেপে আদ্রা পর্যন্ত চলে এসেছিল দুই বোন। কিন্তু, রাতের দিকে আদ্রা স্টেশনে রেলপুলিশ তাদের উদ্ধার করে তুলে দিয়েছে চাইল্ড লাইনের হাতে। শেষ পর্যন্ত তাদের ঠাঁই হয়েছে পুরুলিয়ার আনন্দমঠ হোমে।

Advertisement

চাইল্ড লাইন ও রেলপুলিশ সূত্রের খবর, ঝুমা ও পূর্ণিমা নামে ওই বোনের বাবা মঙ্গল সাহা শিলিগুড়ির বিদ্যাপল্লির লোকনাথ কলোনিতে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। সেখানকার একটি ক্যাটারিং সংস্থার কর্মী মঙ্গলবাবু। বছর বারোর ঝুমা বাবার কাছে থেকে স্থানীয় স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে সে। ছোট বোন পূর্ণিমা থাকে সাঁওতালডিহির কাঁকি বস্তিতে মা মামণি দেবীর কাছে। সে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সম্প্রতি মঙ্গলবাবু শিলিগুড়ি থেকে সাঁওতালডিহিতে ঝুমাকে নিয়ে এসেছিলেন। তার হাতে দুশো টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু, মায়ের কাছে বেশিদিন থাকতে মন চায়নি ঝুমার। পূর্ণিমাও দিদিকে জানিয়েছিল, মায়ের কাছে প্রতিদিনই বকাঝকা খেতে হয়। এখানে তার মন টিকছে না। এর পরেই বোন মিলে শিলিগুড়িতে বাবার কাছে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

সেই মতো বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে তারা সোজা সাঁওতালডিহি স্টেশনে পৌঁছয়। নিজের কাছে থাকা টাকা দিয়েই ট্রেনের টিকিট কেটে ঝুমা বোনকে নিয়ে পৌঁছয় আদ্রা স্টেশনে। কিন্তু, রাতের দিকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার ট্রেন না থাকায় রাত প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিল দুই বোন। রেলপুলিশের কর্মীরা তাদের কাছ থেকে সব জেনে রাতেই চাইল্ড লাইনের হাতে দুই বোনকে তুলে দেয়। চাইল্ড লাইনের আদ্রার কর্মকর্তা মন্টু মাহাতো বলেন, “দুই বোনের সাথে কথা বলে বোঝা যাচ্ছে, সাঁওতালডিহিতে মায়ের কাছে তারা থাকতে চায় না। ওরা বলছে, সংসারে নিত্যদিন অশান্তি। তা ছাড়া, ছোটখাটো কারণে মা বকাঝকা করেন বলেই ওরা বাবার কাছে চলে যেতে চেয়েছিল।”

Advertisement

এ দিন সকালে দুই বোনকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা শিশুকল্যাণ সমিতির কাছে। সমিতির চেয়ারম্যান অমিতা মিশ্র বলেন, “মায়ের কাছে ফিরতে চাইছে না বলে ওদের আপাতত রাখা হয়েছে আনন্দমঠ হোমে। শিলিগুড়িতে ওদের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement