ইলামবাজারে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
কানুর এবং ডোমনপুর গ্রামের দুই বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনায় অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার-সহ ১২ দফা দাবিতে ইলামবাজার থানায় স্মারকলিপি দিল বিজেপি। এ দিন প্রতীকী থানা ঘেরাও-ও করে বিজেপি। দলের ইলামবাজার ব্লক নেতৃত্বের উদ্যোগে, কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থক ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, দাবি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইলামবাজার থানার কানুর গ্রামের বাসিন্দা রহিম শেখকে বিজেপি করার অপরাধে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জাফারুল ইসলাম-সহ একাধিক তৃণমূলের নেতা কর্মী ও তাঁদের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় নিহতের পরিবার। ওই ঘটনার মাস খানেক পরে ওই থানারই ডোমনপুর গ্রামে অভিযোগ ওঠে, একই ‘অপরাধে’ শেখ এনামুলকে খুন করার। তাঁর পরিবারও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিজেপির ইলামবাজার পর্যবেক্ষক চিত্তরঞ্জন সিংহ’র অভিযোগ, “পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। মিথ্যা মামলায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ফাঁসাচ্ছে। অথচ আমাদের দলের দুই কর্মী খুনের ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরছে। পুলিশ ধরার সাহস করছে না।” এ দিন ইলামবাজার ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই স্মারকলিপি কর্মসূচীতে যোগ দেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ এবং র্যাফ মোতায়ন করে জেলা পুলিশ। বোলপুরের সিআই চন্দ্র শেখর দাস বলেন, “দাবিগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মিছিল। বিজেপির দুর্নীতি মুক্ত সপ্তাহের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার। মহম্মদবাজারে বিজেপি সমর্থকেরা সে নিয়ে একটি মিছিল বের করল। বিজেপি জেলা কোষাধ্যক্ষ তথা সাঁইথিয়ার একমাত্র বিজেপি কাউন্সিলার(বিদায়ী)কাশীনাথ মণ্ডল-সহ কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা ওই মিছিলে পা মেলান। স্থানীয় বিজেপি নেতা রণজিত্ গড়াই বলেন, “বিকেল তিনটেয় মহম্মদবাজার পার্টি অফিস থেকে মিছিল বের হয়। এলাকা ঘুরে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মিছিল শেষ হয়। বাংলাকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে।” নানা দাবিতে এ দিনও মুরারই থানায় স্মারকলিপি দেয় বিজেপি।