রানাঘাটে বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে পথে নামল বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া শহর।
রানাঘাট, কাটোয়ার পরে বিষ্ণুপুর। ফের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ।
এ বার ঘটনাস্থল, বিষ্ণুপুর থানার বাঁকাদহ অঞ্চলের ভালকি গ্রাম। ৬৫ বছরের ওই আদিবাসী বৃদ্ধাকে গুরুতর জখম অবস্থায় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাটি রবিরারের হলেও বুধবার রাতে বৃদ্ধার ছেলে পাশের গ্রাম চিতরং-এর বাসিন্দা নিশি সর্দারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাইকেলে চেপে বিষ্ণুপুর শহরে ঢোকার মুখে পুলিশ বছর কুড়ি-একুশের নিশিকে গ্রেফতার করে।
লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতার ছেলে জানিয়েছেন, রবিবার বিকেলে তাঁর মা গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়েছিলেন। সেই সময় একা পেয়ে তাঁর মায়ের মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ওই তরুণ। ঘটনাটি বন সুরক্ষা কমিটির এক সদস্য এবং এক গ্রামবাসীর চোখে পড়লে নিশি পালায়। বন দফতরের বাঁকাদহের বিট অফিসার দেবদাস রায় বলেন, “বন সুরক্ষা কমিটির লোকেরাই ওই বৃদ্ধাকে দুষ্কৃতীর হাত থেকে বাঁচিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেন।” বৃহস্পতিবার হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার ছেলে বলেন, “ওদের সাহায্যে মা জঙ্গলের বাইরে এসে কোনও ভাবে বাড়ি ফিরলেও লজ্জায় সব কথা গোপন করেন। কিন্তু, মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় মা নিজেই পুরো ঘটনা খুলে বলেন। সঙ্গে সঙ্গেই মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই।” ওই বৃদ্ধার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, বৃদ্ধার স্যালাইন চলছে। তাঁকে ঘিরে মেয়ে, বউমা ও প্রতিবেশীরা। মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “আমাদের চেয়েও কমবয়সী একটা ছেলে এ রকম ঘটনা ঘটালো কী করে! আমরা ওর কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” প্রতিবেশী বদন মান্ডি। তিনি বলেন, “আমাদের এলাকায় এ সব ঘটনা আগে ভাবাই যেতনা। এখন সরকার যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিক।” ধর্ষিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বিষ্ণুপুর ইউনিটের সম্পাদক সনাতন কিস্কু বলেন, “অপরাধী ধরা না পড়লে আন্দোলনে নামব।” বিজেপি-র বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষও বলেন, “প্রতিবাদে আমরা পথে নামব।”
বৃহস্পতিবার মিছিলে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়। —নিজস্ব চিত্র।