নকল ধরায় পরীক্ষককে হুমকি, অভিযুক্তকে পুলিশে দিল কলেজ

স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের ইতিহাস পরীক্ষায় টুকলি করে ধরা পড়ায়, পরীক্ষার খাতা ছিঁড়ে ফেলা এবং দায়িত্বে থাকা পরীক্ষককে হুমকির অভিযোগে এক ছাত্রকে পুলিশের হাতে তুলে দিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় অভিযোগ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বোলপুরের পূর্ণিদেবী চৌধুরী মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৪ ০০:৫৮
Share:

স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের ইতিহাস পরীক্ষায় টুকলি করে ধরা পড়ায়, পরীক্ষার খাতা ছিঁড়ে ফেলা এবং দায়িত্বে থাকা পরীক্ষককে হুমকির অভিযোগে এক ছাত্রকে পুলিশের হাতে তুলে দিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় অভিযোগ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বোলপুরের পূর্ণিদেবী চৌধুরী মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ঘটনা।

Advertisement

কলেজ সুত্রে জানা গিয়েছে, খুজুটিপাড়া চণ্ডিদাস মহাবিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল বোলপুরের ওই মহিলা মহাবিদ্যালয়। মঙ্গলবার, ওই কলেজে ইতিহাসের পরীক্ষা ছিল। কলেজের দোতলার সাত নম্বর ঘরে প্রায় ৩৪ জোন পরীক্ষার্থী ছিলেন। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ এক পরীক্ষার্থীকে টুকলি না করার জন্য সতর্ক করে দেন ওই ঘরের পরীক্ষক। কিন্তু অভিযোগ, পরীক্ষকের সতর্ক করাকে এড়িয়ে একের পর এক নোট বের করে লিখতে থাকেন ওই ছাত্র। সেই সময়ও পরীক্ষক তাঁকে নিষেধ করেন এবং আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা জানান। পরীক্ষকের নির্দেশে এক সময়ে রেগে গিয়ে নিজের উত্তর খাতা ছিঁড়ে, জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেন ওই পরীক্ষার্থী।

ঘটনার আকস্মিকতায় পরীক্ষক হতভম্ব হয়ে তিনি কলেজ অধ্যক্ষ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে মোতয়ন থাকা পুলিশের সাহায্য চান। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এরপরেই অভিযুক্ত ছাত্র পরীক্ষককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

Advertisement

বোলপুর থানায় বিষয়টি জানান কলেজের অধ্যক্ষ সুনীলবরণ মণ্ডল। বোলপুর থানা থেকে পুলিশ আসার পর অভিযুক্ত ওই ছাত্রের খাতা বাতিল করে দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুনীলবরণ মণ্ডল বলেন, “ওই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। ওই ছাত্রকে টুকলি করার দায়ে পরিদর্শকের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হচ্ছে।”

খবর পেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছিলেন ওই ছাত্রের বাবা। তিনি ছেলেকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানান। কিন্তু অপরাধমূলক কাজের জন্য ওই পরীক্ষার্থী ক্ষমার অযোগ্য বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাফ জানিয়ে দেন। অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী অবশ্য তাঁর এহেন কাণ্ড কারখানা সম্পর্কে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর পাল্টা দাবি, “আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” হঠাৎ করে শুধু তাঁকেই কেন ফাঁসানো হবে, তার সদুত্তর অবশ্য অভিযুক্ত ছাত্রের কাছ থেকে মেলেনি।

এ দিকে, বোলপুর থানার আই সি দেব কুমার রায় জানিয়েছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে বোলপুর আদালতে হাজির করানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement