অভিযোগটা ছিল, অবাধ ভোটের স্বার্থে পদক্ষেপ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধানের রোষে পড়েছেন ব্লক অফিসের তিন কর্মী। থানায় সে কথা বিডিও নিজে জানানোর ২৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে নিজের ঘরে বৃহস্পতিবার খোশমেজাজেই কাজ করেছেন সমিতির তৃণমূল সভাপতি সহদেব কোটাল।
সহদেববাবু এবং কোতুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের লক্ষ্মণ ভাঙ্গির বিরুদ্ধে কোতুলপুর ব্লক অফিসেরই তিন ভোট-কর্মীকে হুমকি দেওয়া ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার কোতুলপুরের বিডিও অভিনন্দা মুখোপাধ্যায় লিখিত ভাবে এ কথা থানায় জানান। পঞ্চায়েত সমিতির অফিসেই বসেন বিডিও এবং সভাপতি। বৃহস্পতিবার অফিস করেছেন দু’জনেই। তবে, বিডিও বেশিক্ষণ থাকেননি। আর সহদেববাবু বলছেন, “আমি কোনও দোষই করিনি! এ দিন বিকেল ৩টে পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। কই পুলিশ তো খোঁজ নিতেও আসেনি!” বিডিও-র সঙ্গে দেখা হয়েছে? সভাপতির জবাব, “বিডিও-র সঙ্গে আমার বিশেষ দেখাসাক্ষাৎ হয় না। প্রয়োজন থাকলে ফোনেই কথা হয়। এ দিন কথা হয়নি।” যে তিন কর্মীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা এ দিন অফিস করেননি। ব্লক অফিসের এক কর্মী জানান, ওই তিন জন ভোটগণনার কাজে ব্যস্ত।
বিডিও-র দাবি, তিনি এফআইআর করেননি। পুলিশও সেটাই জানিয়েছে। অভিনন্দা বলেন, “ভোটের কাজে যাওয়া তিন সহকর্মীকে হুমকি দিচ্ছেন সভাপতি ও প্রধান, জানতে পেরে থানায় বিষয়টা লিখিত জানিয়েছিলাম। এফআইআর করিনি। তবে, পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি, তা বলতে পারব না।” বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “সভাপতি ও প্রধানের বিরুদ্ধে বিডিও বুধবার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করে একটি জেনারেল ডায়েরি করেছেন। অভিযোগটিকে এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার জন্য আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালত নির্দেশ দিলে এফআইআর করে তদন্তের কাজ শুরু হবে।”