পাড়ার ন’বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত জুনিয়র কনস্টেবলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিমলাপালের মাচাতোড়া থেকে ধনঞ্জয় সিংহ মহাপাত্র নামের পুরুলিয়া পুলিশ লাইনে কর্মরত ওই কনস্টেবলকে ধরা হয়। তার আগে এ দিন সকালে সিমলাপাল থানায় এলাকার কয়েকশো মহিলা ও পুরুষ ধনঞ্জয়কে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ তাকে ধরার আশ্বাস দিলে অবস্থান ওঠে।
চকোলেটের লোভ দেখিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় পাড়ার এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ধনঞ্জয় সিংহ মহাপাত্র নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে। সে পুরুলিয়া পুলিশ লাইনে কর্মরত। কিন্তু অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। এ নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় বাসিন্দারা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। শনিবারই তাঁরা সিমলাপাল থানায় বিক্ষোভ দেখান। পরে ওই নাবালিকার বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, মদ্যপ অবস্থায় ধনঞ্জয় তাঁর মেয়েকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে দূরে পুকুরপাড়ের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটি কান্নাকাটি করলে ধনঞ্জয় ভোজালি দেখিয়ে চড় থাপ্পড় মেরে কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়। পরে বাড়ির লোকের সন্দেহ হলে সে ঘটনাটি জানায়।
এ দিকে চারদিন পরেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করতে পারায় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে এ দিন সকালে থানায় জমায়েত করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। তাঁদের ক্ষোভ, এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার পর চারদিন পার হতে চলল, তারপরেও পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি। অভিযুক্তের পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডাকেনি। পুলিশ চেষ্টা করলেই অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে পারবে। পরে থানার আইসি অনিরুদ্ধ সরকার অভিযুক্তকে দ্রুত ধরার আশ্বাস দেওয়ায় অবস্থান বিক্ষোভ ওঠে। গ্রামবাসীর তরফে আইসি-র কাছে ওই যুবককে গ্রেফতারের দাবিতে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
রাতে পুলিশ জানিয়েছে, মাচাতোড়ার একটি বাড়ি থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার, তাকে খাতড়া আদালতে তোলা হবে। খাতড়া মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “অভিযুক্তের হদিস পেতে সর্বত্র তল্লাশি চালানো হয়। কোনও রকম গাফিলতি হয়নি। অভিযুক্তের পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।” পুরুলিয়ার এসপি নীলকান্ত সুধীর কুমার বলেন, “বাঁকুড়া পুলিশ রিপোর্ট পাঠালে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”