অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও হিয়া দাস।
কিন্তু বাবা চেয়েছিলেন ছেলে জেলা স্কুলে পড়ুক। তাই গ্রামের স্কুলে প্রথম স্থান পেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া ছোট্ট অগ্নিভকে বীরভূম জেলা স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করেছিলেন ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক অরূপ রতন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একই ক্লাসে আবার পড়াশোনা করতে হবে জেনে মনমরা হয়ে যায় ছোট ছেলেটির। তাই গ্রামের স্কুলেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল ছেলেকে। মাধ্যমিকের পর ছেলেকে জেলা স্কুলে ভর্তি করতে সমস্যা হয়নি। বীরভূম জেলা স্কুল থেকেই জেলার সেরা সিউড়ির সমন্বয়পল্লির বাসিন্দা অগ্নিভ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৯। রাজ্যে মেধা তালিকায় অষ্টম স্থানে জায়গা পেয়েছে সে। একমাত্র সন্তানের সাফল্য বাবা মা উভয়েই বললেন, “অল্পের জন্য ছেলে মাধ্যমিকে (৬৫৩) মেধা তালিকায় আসতে পারেনি। সেই আক্ষেপ এবার ঘুঁচে গেল।” ইংরেজি বাবার কাছেই পড়েছে অগ্নিভ। বাকি সব বিষয়েই গৃহশিক্ষক ছিল তার। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তার।
অন্য দিকে মেয়েদের মধ্যে জেলার সম্ভাব্য প্রথম সিউড়ির আরটি গার্লস স্কুলের ছাত্রী হিয়া দাস। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৬। সিউড়ির বড়বাগানের বাসিন্দা হিয়াও পড়াশোনায় খুবই ভাল। মাধ্যমিকেও (৬৫৪) যথেষ্ট ভাল ফল করেছিল। বাবা অরুণ দাস ব্যবসায়ী। সিউড়তেই একটি ব্যাগের দোকান চালান তিনি। এ দিন ব্যবসার কাজেই কলকাতায় গিয়েছেন। মা নীলিমা দাস গৃহবধূ। বললেন, “তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে হিয়াই বড়। পড়াশোনাতেও বড় মেয়েই একটু এগিয়ে।” অগ্নিভর মতো ইঞ্জিনিয়র হওয়ার ইচ্ছেও নেই তার। জয়েন্টও বসেননি এ বার। তবে সামনের বার ভালভাবে প্রস্তুতি নিয়ে জয়েন্টে বসতে চায় সে। ইচ্ছে চিকিৎসক হওয়ায়।