এক নাবালিকা ছাত্রীর উপর দীর্ঘদিন ধরে যৌন নিগ্রহ চালানোর অভিযোগে ধৃত সিউড়ির একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক মাধবেন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়কে শুক্রবার ফের আদালতে তোলা হয়েছিল। এ দিন ওই শিক্ষককে সিউড়ির বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতের নির্দেশ দেন। বিচারক মাহনন্দ দাস আগামী ৫ ডিসেম্বর অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে সিউড়িরই একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের এক ছাত্রী যখন নবম শ্রেণিতে পড়ত তখন বাড়িতেই তাকে টিউশন দিতেন সিউড়ি শহরের নামকরা ইংরেজি শিক্ষক বছর পঞ্চাশের মাধবেন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। গত বছর একদিন অন্য ছাত্রছাত্রীরা চলে যাওয়ার পর ইন্টারনেট থেকে পাঠ দেওয়ার নাম করে দ্বিতলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীর হাত পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, নির্যাতনের সেই ছবি তুলে ধৃত ল্যাপটপে রেখেছিল। এই কথা অন্যকে বা বাড়িতে জানালে ওই ছবি প্রকাশ্যে আনা হবে এই ভয় দেখিয়ে ওই শিক্ষক বহুবার ওই ছাত্রীর সঙ্গে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত ছাত্রীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে সিউড়ি থানায় গত ১৪ তারিখ অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দিনই সিউড়ির ডাঙালপাড়া এলাকায় টিউশন পড়াতে থাকা ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে মামলা করে পুলিশ। পরের দিন সিউড়ির বিশেষ আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তকে পুলিশ সাত দিন তাদের হেফাজতে চেয়েছিল। বিচারক তা মঞ্জুর করেন। ল্যাপটপটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গত ১৭ তারিখ আদালতে নির্যাতিতা ছাত্রী জবানবন্দিও দিয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত শিক্ষক তার অপরাধ স্বীকার করেছে। এ দিন অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা না গেলেও তার আইনজীবী মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রীর জবানবন্দির ভিত্তিতেই আমার মক্কেলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কেস ডায়েরি হাতে আসার পর আইনি লড়াই শুরু হবে।”