দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই গাড়ি।
চাকা ফেটে যাওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল চলন্ত গাড়ি। রাস্তার পাশে কালভার্টের দেওয়ালে সেই গাড়ি ধাক্কা মারার ফলেই মৃত্যু হয়েছে রেলের দুই আধিকারিক-সহ তিন জনের। পুলিশের কাছে এমনই জানিয়েছেন ওই গাড়ির চালক।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে পুরুলিয়ার মফঃস্বল থানার ডুমুরডি গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুনীলকুমার টোপো (৫২), তাঁর ছেলে নয়নকুমার টোপো (১৫) ও প্রশান্ত সাহার (৪৮)। গাড়িতে থাকা বাকি চার জনকে রাতেই পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁদের মধ্যে সুনীলবাবুর স্ত্রী ঋতুদেবী ও ছোট ছেলে আনন্দর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। গাড়ির চালক দীপককুমার পাসোয়ান ও আর এক যাত্রী পুরুলিয়াতেই ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীলবাবু রেলের নির্মাণ বিভাগের আধিকারিক ছিলেন। থাকতেন আদ্রার অফিসার্স কলোনিতে। তিনি এ দিন ঝাড়খণ্ডের মুরি থেকে রেলের একটি নির্মাণকাজ দেখভাল করে সড়ক পথে আদ্রায় ফিরছিলেন। ফেরার পথেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়িতেই ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান। ঘটনাস্থলে সুনীলবাবু ও তাঁর বড় ছেলের মৃত্যু হয়। প্রশান্তবাবুও রেলের নির্মাণ বিভাগের কর্মী। তিনি বর্ধমানের বাসিন্দা। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি গাড়ির চালক দীপকবাবু সোমবার বলেন, “পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়ক ধরে ফিরছিলাম। ডুমুরডি পার হওয়ার পরে আচমকা শব্দ হয়। বুঝতে পারি, একটা চাকা ফেটেছে। তার পরে আর কিছু মনে নেই।” চাকা ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থায় ছিল কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “গাড়ি তো অফিসেরই। ঠিকই ছিল। কী ভাবে যে কী হয়ে গেল, বুঝে উঠতে পারছি না।” আদ্রার ডিআরএম অনসুল গুপ্ত বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।” গাড়ির চালক যা দাবি করেছেন তা ঠিক কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গাড়িটি আটক করা হয়েছে।