খয়রাশোলের গ্রামে পৌঁছল জল

বহু বছর ধরেই পানীয় জলের সমস্যা ছিল গ্রামে। গভীর নলকূপ থাকলেও সেগুলি থেকে জল পেতে বেশ বেগ পেতে হত বাসিন্দাদের। বাধ্য হয়ে বালি খুঁড়ে শাল নদীর জল কিংবা পুকুরের জলই পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করতে বাধ্য হতেন খয়রাশোলের নিচিন্তা গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খয়রাশোল শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৪ ০০:২৭
Share:

বহু বছর ধরেই পানীয় জলের সমস্যা ছিল গ্রামে। গভীর নলকূপ থাকলেও সেগুলি থেকে জল পেতে বেশ বেগ পেতে হত বাসিন্দাদের। বাধ্য হয়ে বালি খুঁড়ে শাল নদীর জল কিংবা পুকুরের জলই পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করতে বাধ্য হতেন খয়রাশোলের নিচিন্তা গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের অনেক মহিলারা প্রায় এক কিমি পথ হেঁটে পানীয় জল কলসী ভরে নিয়ে আসতেন পাশের ডেকুর গ্রাম থেকে। কিন্তু বছরের পর বছর এমন কষ্ট করার পর মাস দু’য়েক আগে একদিন দল বেঁধে নিচিন্তা গ্রামের মহিলারা পৌঁছন খয়রাশেলের বিডিও-র কাছে। বিডিও মহম্মদ ইসরার কথা দিয়ে ছিলেন সমস্যা মেটাতে যথা সম্ভব করবেন। মূলত তাঁর উদ্যোগেই বর্তমানে পনীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে ওই গ্রামে। দিনে দু’বার পাইপ লাইনে করে গ্রামের পাঁচটি কলে জল আসে। খুশি গ্রামবাসীরা।

Advertisement

প্রায় ১০০ পরিবারের বাস গ্রামটিতে। শাল নদীর ধার ঘেঁষা ওই গ্রামে নলকূপ বসানোর সমস্যা রয়েছে। হয় জলের পেতে সমস্যা হয়, নতুবা জলের মান খারাপ। একাধিকবার চেষ্টা করেও সফল হয়নি প্রশাসন। যে দু-একটি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে সেই নলকূপ থেকে জল নিতে হাঁফিয়ে উঠতে হত বলে জানাচ্ছেন কল্পনা মালাকার, পূর্ণিমা রুইদাস, কবিতা চক্রবর্তী বা শিবানী বাগদিরা। তাঁরা বলছেন, “তাই নদীর বালি খুঁড়ে জল বয়ে নিয়ে আসা বা পাশের গ্রামে থেকে জল নিয়ে আসতে চরম কষ্ট হত। অথচ পাশের ডেকুর গ্রামের একটি আরটিজিএ কূপ থেকে অনবরত জল পড়ে চলছে। বিডিওর কাছে জানানোর পরই পাশের গ্রামের গভীর নলকূপ থেকে জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। বিডিও বলেন, “মাটির নীচে একটি রিজার্ভার তৈরি করে সেখানে অপচয় হতে থাকা জল ধরে রেখে, সেই জল পাম্পের মাধ্যমে পাইপের সাহায্যে নিচিন্তা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার কথা ভাবা হয়। তৃতীয় অর্থ কমিশনের সাড়ে চার লক্ষ টাকা ব্যায়ে পাঁচটি স্ট্যান্ড কল করে দেওয়া হয়েছে গ্রামে। সকাল-বিকেল সেখান থেকেই জল নেন গ্রামের মানুষ। তবে শর্ত একটাই পাম্প চালানোর জন্য বিদ্যুত খরচ চাঁদা করে মেটাতে হবে গ্রামবাসীকেই।” সেই শর্তে রাজি কল্পনা, পূর্ণিমারা। তাঁরা বলছেন, “আগের থেকে কষ্ট তো কমেছে। তাতে বিদ্যুতের বিল মেটাতে আপত্তি নেই।” আরও একটা ব্যাপারে খুশি গ্রামের মানুষ। প্রাথমিক স্কুলে একটি ছোট ট্যাঙ্ক বানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে স্কুল পড়ুয়ারা পানীয় জল ও মিড-ডে মিলের জন্য সমস্যায় না পড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement