খুনে দোষী চার ফব সমর্থক

সিপিএম সমর্থক, প্রতিবেশী যুবককে নৃশংস ভাবে খুনের দায়ে চার ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থককে দোষী সাব্যস্ত করল বোলপুর আদালত। সোমবার বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে, এই মামলায় অভিযুক্ত বাকি ১৩ জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ২২ তারিখ তিনি সাজা ঘোষণা করবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৫
Share:

সিপিএম সমর্থক, প্রতিবেশী যুবককে নৃশংস ভাবে খুনের দায়ে চার ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থককে দোষী সাব্যস্ত করল বোলপুর আদালত। সোমবার বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে, এই মামলায় অভিযুক্ত বাকি ১৩ জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ২২ তারিখ তিনি সাজা ঘোষণা করবেন।

Advertisement

সরকারি পক্ষের আইনজীবী উদয় কুমার গড়াই বলেন, “২০০৫ সালের ২২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ জমি থেকে ফেরার পথে, রাজনৈতিক আক্রোশে গ্রামের মসজিদের কাছে নৃশংস ভাবে মারধর করা হয় নানুর থানার পাটনিল গ্রামের বাসিন্দা সিপিএম সমর্থক কৃষিজীবী টিপু শেখকে(৩৫)। সংকটজনক অবস্থায়ে তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে। প্রথমে নানুর হাসপাতালে ও পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।”

আদালত সূত্রে খবর, ওই রাতে নিহত টিপু শেখের মা সামসুনেহা বিবি গ্রামের প্রতিবেশী ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থক তারা শেখ, আজাদ শেখ, রেন্টু শেখ, মিঠু শেখ-সহ গ্রামের মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন নানুর থানায়। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩২৬, ৩০৭, ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।

Advertisement

সরকারি আইনজীবী উদয়বাবু জানান, রাজনৈতিক আক্রোশের বশে লাঠি, রড, টাঙি-সহ ধারোলা অস্ত্র দিয়ে গ্রামের ফরওয়ার্ড ব্লক সমর্থক জনা সতেরো যুবক ঘিরে খুনের উদ্দেশ্যে মারধর করেন টিপু শেখকে। ওই সময়ে খবর পেয়ে নিহত যুবকের মা সামসুনেহা বিবি ও বউদি রেজিনা বেগম, বোন সাহিনা খাতুন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। গ্রামে থাকা পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে রক্তাক্ত টিপুকে সংকটজনক অবস্থায় উদ্ধার করে। ঘটনা হল, অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই ফব সমর্থক ওই চার যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ঘটনার ময়নাতদন্তকারী চিকিত্‌সক, ঘটনার তদন্তকারী অফিসার, নিহতের মা এবং বউদি, বোন নিয়ে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত। রক্তমাখা মাটি, নিহতের রক্তমাখা জামা কাপড়-সহ ঘটনাস্থল থেকে এবং অপরাধীদের কাছে থেকে পাওয়া একাধিক জিনিস আদালতে দেখানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement