work culture in Europe

ভারতের অফিসে কর্মীরা ঘুমোন, ইউরোপে কাজের পরিবেশ অনেক সুস্থ! প্রবাসী ভারতীয়ের দাবিতে শোরগোল

অঙ্কুর লখনউয়ের ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির একজন স্নাতক। ২০২১ সালে তিনি সুইডেনে চলে আসেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৩
Share:

ছবি: প্রতীকী।

ভারতীয় সংস্থায় কাজের পরিবেশের তুলনায় ইউরোপীয় দেশগুলিতে কর্মসংস্কৃতি ও পরিবেশ অনেক সুস্থ বলে দাবি করলেন এক প্রবাসী ভারতীয় তরুণ। তিনি বর্তমানে সুইডেনে কর্মরত। অঙ্কুর ত্যাগী নামের এই তরুণ এক্স মাধ্যমে নিজের মতামত ব্যক্ত করে একটি পোস্ট করেন যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সুইডেনে চলে যাওয়ার পর তিনি কাজের ভিন্ন পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। অঙ্কুরের আরও দাবি, কাজের এই পদ্ধতিগুলি ভারতে দেখা যায় না। এই দেশগুলির নিয়োগকর্তারা তাঁদের কর্মীদের কাজের ধরনের উপর সম্পূর্ণ ভরসা করেন ও তাঁদের বিশ্বাস করেন। সেখানে কর্মক্ষেত্রে ধরা নেওয়া হয় ভারসাম্যের জীবন বজায় থাকলে কর্মীদের কাজে তার প্রতিফলন দেখা যায়। কর্মীদের কাজের প্রতি যত্নবান হতে দেখা যায়। যার ফলে লাভবান হয় সংস্থাই।

Advertisement

অঙ্কুরের দাবি, ভারতে তার ঠিক উল্টো ধরা হয়। কঠোর পরিশ্রম এবং তাড়াহুড়ো করে কাজ করাকে মর্যাদার বলে ধরা হয়। এখানে অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করাকে স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। অঙ্কুর লখনউয়ের ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক জন স্নাতক। ২০২১ সালে তিনি সুইডেনে চলে যান। এর আগে, তিনি ভারতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। ভারতের এক জন আইনজীবীর একটি বিতর্কিত টুইটের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এই পোস্টটি করেন।

আয়ুষী দোশী নামে এক আইনজীবী নিজের পোস্টে তাঁরই অফিসের এক কর্মীর মেসেজের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এনে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। সেই কর্মী অফিসে একটু বেশি সময় ছিলেন বলে সেই ‘ভুল’ শোধরানোর জন্য পরের দিন দেরি করে অফিস আসার কথা লিখেছেন বলে তাঁর সমালোচনা করেন আয়ুষী। আয়ুষীর সেই পোস্টকে ঘিরে হইচই এবং বিতর্ক শুরু হয় সমাজমাধ্যমে। কয়েক জন আয়ুষীর ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও অনেকে পাল্টা তাঁকেই দোষারোপ করেছেন। কেন তাঁর কর্মীকে অফিসে দেড় ঘণ্টা বেশি থাকতে হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

Advertisement

সেই পোস্টেরই পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে অঙ্কুর জানান, যে তাঁর এক জন ম্যানেজার ছিলেন যিনি কোনও দিন রাত ১০টার আগে অফিস থেকে বার হননি। এর পরেও পরের দিন ঠিক সকাল ৯টায় অফিসে হাজির হতেন। ওই পোস্টেই অঙ্কুর দাবি করেন, তিনি যখন ভারতে ছিলেন তখন তাঁর সহকর্মীদের অনেকেই অফিসে এসে ঘুমোতেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement