পাথর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পাথর ব্যবসায়ী-মালিকরা কী ভূমিকা নিয়েছেন, তা নিয়ে মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস।
বুধবার দুপুরে মহকুমাশাসকের অফিসে ওই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট ১-এর বিডিও শ্রেয়সী ঘোষ, নলহাটি ১-এর বিডিও তাপস বিশ্বাস এবং মুরারই ১ ব্লকের বিডিও আবুল কালাম, রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি, বারমেসিয়া, দিঘলপাহাড়ি, তেঁতুলবাঁধি, শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা। ছিলেন, নলহাটি ও মুরারই থানার রাজগ্রাম পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকার মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা।
মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় শ্রমিকরা কী কী সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন সেই সমস্ত খতিয়ে দেখার জন্য উপর মহল থেকে নির্দেশ এসেছে। সেই কারণে রামপুরহাট মহকুমা এলাকায় পাথর শিল্পাঞ্চলের মালিকদের নিয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় যেমন পাথর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি প্রদানের জন্য মালিকদের বলা হয়েছে, তেমনি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের ব্যবস্থার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেক শ্রমিককে বিমার আওতায় আনতে বলা হয়েছে।” তিনি জানান, সিলিকোসিস প্রতিরোধে মালিক সমিতি কী ভূমিকা নিয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়।
অন্য দিকে, শ্রমিকদের সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি প্রদানের বিষয়ে পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের দাবি, শ্রমিকেরা প্রত্যেকেই সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ২৪৫ টাকার চেয়ে বেশি মজুরি পান। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি প্রদানে তাঁরা রাজি আছেন কি না সেটা দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা। মুরারইয়ের রাজগ্রাম পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আলি আসগার বলেন, “আমাদের এলাকায় তো ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেই। সে ক্ষেত্রে আমরা কী ভাবে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি দেব, সেটা দেখতে হবে।” নলহাটি পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির পক্ষে বলা হয়, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করলে ব্যাঙ্কে চেক ভাঙিয়ে টাকা পেতে সময় লাগলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় অস্থায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা বেশি। সে ক্ষেত্রে অস্থায়ী শ্রমিকদের বিমাকরণে অসুবিধা হবে।
রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারই এই তিন থানার পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা জানান, এ দিনের আলোচনার বিষয়গুলি নিয়ে সমিতির অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ওই আলোচনায় সমিতির সিদ্ধান্ত মহকুমাশাসককে জানানো হবে এবং মহকুমাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা হবে।