কলেজে ভোটে ঝামেলার আশঙ্কা

আগামী ৭ ও ৮ জানুয়ারি জেলার কলেজগুলিতে দু’দফায় ছাত্র সংসদের নির্বাচন। তাঁর আগে রামপুরহাট কলেজের নির্মীয়মাণ ছাত্রী আবাসে বোমা উদ্ধারের ঘটনা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের কাপালে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঝামেলা পাকাতে পারে এমন আশঙ্কা করছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি ও রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৩
Share:

আগামী ৭ ও ৮ জানুয়ারি জেলার কলেজগুলিতে দু’দফায় ছাত্র সংসদের নির্বাচন। তাঁর আগে রামপুরহাট কলেজের নির্মীয়মাণ ছাত্রী আবাসে বোমা উদ্ধারের ঘটনা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের কাপালে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঝামেলা পাকাতে পারে এমন আশঙ্কা করছে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলিও। তবে কলেজ নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয় সে ব্যাপারে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া।

Advertisement

পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থার কথা শুনেও খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারছে না বিরোধী রাজনৌতিক ছাত্রসংগঠনগুলি। বিশেষ করে আজ, শুক্রবার থেকে বোলপুর ও সিউড়ি মহকুমার দুবরাজপুরের হেতমপুর, রাজনগর ও খয়রাশোল-সহ আটটি কলেজে মনোনয়পত্র তোলার দিন। আগামীকাল থেকে রামপুরহাট ও সিউড়ি মহকুমার বাকি আটটি কলেজেও মনোনয়নপত্র তোলা শুরু হবে। সেই সময় তাদের দলের ছাত্র প্রতিনিধিরা তাঁদের মনোনয়নপত্র তুলতে বা জমা দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক শতদল চট্টোপাধ্যায়, ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি রবিউল হাসানরা। তাঁদের দাবি, বিগত বছরগুলিতে দেখা গিয়েছে শাসকদলের হয়ে বহিরাগতরা কলেজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই মনোনয়নপত্র তুলতেই পারা যায় না। এ বার সমস্যা আরও বাড়বে, তার ইঙ্গিত রামপুরহাটেই মিলেছে। ঝামেলার অশঙ্কা করছে এ বার বেশিরভাগ কলেজগুলিতে প্রথমবার মনোনয়ন দাখিল করতে চলছে সেই এভিবিপিও। এভিবিপির জেলা সভাপতি রূপত মণ্ডল বলেন, “প্রায় প্রতিটি কলেজেই শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে গণ্ডগোল পাকানোর আশাঙ্কা আমারা করছি।” যদিও তাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ মানতে নারাজ টিএমসিপির জেলা সভাপতি সুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কাউকে কোনও বাধা দেওয়া হয় না। এমনিতেই এসএফআই নিয়ে বলার কিছু নেই। কারণ, ওদের কোনও সংগঠনই জেলায় নেই। তাই মনোনয়ন তোলাকে ঘিরে অশান্তির প্রশ্নই নেই। আর এভিবিপি নিয়ে যে আওয়াজ উঠছে মনোনয়নপত্র তোলার সময় দেখতে পাবেন, কোন কলেজে কটি মনোনয়ন তারা তুলছে। জেলাপুলিশ সুপার অবশ্য বলছেন অশান্তি এড়াতে তৈরি পুলিশ।

অন্য দিকে, কলেজে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে এসএফআই রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছে। এ দিনই সিপিএমের রামপুরহাট শহর লোকাল কমিটির ডাকে শহরের ডাক বাংলা মোড় থেকে মিছিল বের হয়। শহরের ব্যাঙ্ক রোড, দেশবন্ধু রোড ঘুরে মিছিল শেষ হয় রামপুরহাট পাঁচ মাথা মোড়ে। সেখানে একটি পথসভা করা হয়। এখনও কলেজে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কোটেশ্বর রাও বলেন, “কে বা কারা বোমা রেখেছিল তাদের সন্ধানে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। আজ, শুক্রবার থেকে রামপুরহাট কলেজে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা করা হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা, খয়রাশোল: খয়রাশোলের কৃষ্ণপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন নাবালক বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি ফিরে এল। যদিও পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করার কারণে এ দিন থানাতেই রাখা হয়েছে ওই তিন জনকে। আজ শুক্রবার দুবরাজপুর আদালতে তোলার পর তাদের পরিজনদের কাছে পাঠানো হবে। প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি ওই তিন নাবালক। সব জায়গায় খোঁজ করেও তাদের হদিশ না মেলায় পরিবারের তরফ থেকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বন্ধুই দেওঘর গিয়েছিল। শীতল নামে এক নাবালক বাড়ি থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement