অবশেষে সোনামুখীর সেই বুথের ভিডিও ফুটেজ চাইল পুলিশ

যে বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ায় অভিযুক্ত শাসক দলের বিধায়ক, বাঁকুড়ার সোনামুখীর সেই বুথের ভিডিও ফুটেজ তোলায় ব্যবহৃত ক্যামেরা শেষ পর্যন্ত তদন্তের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইল জেলা পুলিশ। চতুর্থ পর্বের ভোটের দিনের (৭ মে) সাহাপুর বুথের ওই ঘটনায় জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্ত বিধায়ক দীপালি সাহা এখনও অধরা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের আশ্রয়ে রয়েছেন বিধায়ক। সব জেনেও পুলিশ তাঁকে ধরছে না। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার। তবে বাঁকুড়ার জেলাশাসক বিজয় ভারতীর আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিশ সুপার তাঁকে জানিয়েছেন, দীপালিদেবীকে ধরার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সোনামুখী ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৪ ০৩:১৮
Share:

যে বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ায় অভিযুক্ত শাসক দলের বিধায়ক, বাঁকুড়ার সোনামুখীর সেই বুথের ভিডিও ফুটেজ তোলায় ব্যবহৃত ক্যামেরা শেষ পর্যন্ত তদন্তের জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইল জেলা পুলিশ। চতুর্থ পর্বের ভোটের দিনের (৭ মে) সাহাপুর বুথের ওই ঘটনায় জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্ত বিধায়ক দীপালি সাহা এখনও অধরা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের আশ্রয়ে রয়েছেন বিধায়ক। সব জেনেও পুলিশ তাঁকে ধরছে না। এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার। তবে বাঁকুড়ার জেলাশাসক বিজয় ভারতীর আশ্বাস দিয়েছেন, পুলিশ সুপার তাঁকে জানিয়েছেন, দীপালিদেবীকে ধরার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

বুধবার প্রশাসন সূত্রের খবর, সোনামুখীর সাহাপুরের বুথে যে ক্যামেরায় ভিডিও তোলা হচ্ছিল সেটি ছাড়াও, গণ্ডগোলের সময় এক ভোটকর্মীর মোবাইলে তোলা ভয়েস-রেকর্ড এবং ‘ফর্ম ১৭ এ’-র রেজিস্টার (ভোটদানের আগে ভোটারদের আঙুলের ছাপ বা সই থাকে ওই ফর্মে) চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে মঙ্গলবার আবেদন করেছে সোনামুখী থানা। গোড়া থেকেই প্রশাসন জানিয়েছিল, এই সব তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। তা হলে সেগুলো চাইতে এত সময় লাগাল কেন পুলিশ? জেলা পুলিশের কর্তারা জবাব দেননি।

গত ৭ মে বিকেলে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাহাপুরের ২৭ নম্বর বুথে দলবল নিয়ে ঢুকে ভোটকর্মীদের মারধর করে বুথের বাইরে বার করে দিয়ে দীপালিদেবী ছাপ্পা ভোট দেন বলে অভিযোগ। ওই বুথে ভোটদানের ছবি তুলছিলেন যে ফটোগ্রাফার তাঁকে মারধর করে ভিডিও ক্যামেরাটি ছুড়ে ফেলা হয়। পরে সেই ক্যামেরা তুলে নিয়ে গিয়ে নিজেরহেফাজতে রাখেন সোনামুখীর বিডিও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। পরে কমিশনের নির্দেশে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার সুখেন্দু রজক দীপালিদেবী-সহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে সোনামুখী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই রাতেই পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ১০ জনকে ধরে। রবিবার ওই বুথে পুনর্নির্বাচনও হয়। কিন্তু দীপালি অধরাই।

Advertisement

তবে সিপিএমের সোনামুখী জোনাল সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্যের দাবি, দীপালি দলের নেতাদের আশ্রয়ে বহাল তবিয়তে এলাকাতেই আছেন। কিন্তু তাঁকে ধরার সাহস পুলিশের নেই। এ দিন বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি দীপালিদেবীর সঙ্গে। তাঁর মোবাইল বন্ধ রয়েছে। তবে তৃণমূলের জেলা নেতারা দাবি করে যাচ্ছেন, ওই ঘটনায় দীপালি যুক্ত নন।

বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সূত্রে বুধবার অবশ্য জানা গিয়েছে, জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ হওয়ায় উচ্চ আদালতে বিধায়কের আগাম জামিন মঞ্জুর হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে দলের একাংশ। সে ক্ষেত্রে ভোটের ফল ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত সাহাপুরের দীপালিদেবীকে লোকচক্ষুর আড়ালে কাটাতে বলা হয়েছে। ফল বেরোলে তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হতে পারে। তবে জেলা তৃণমূলের কো-চেয়ারম্যান তথা বাঁকুড়ার সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তীর মন্তব্য, “অভিযোগটাই মিথ্যা। দীপালি কেন আগাম জামিন নেবেন বা আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement