রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
আধার কার্ডের যাবতীয় কাজকর্মের জন্য তিন দিন সময় ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু রবিবার ছুটির দিনে কাজ বন্ধ থাকবে তা জানানো হয়নি। তাই এ দিন সংশ্লিষ্ট দফতর বন্ধ দেখে আধার কার্ড করতে আসা লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অবিলম্বে কাজকর্ম চালু করার দাবিতে পথ অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আটকে পড়ে পুলিশও। পরে বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান অবরোধস্থলে গিয়ে আধার কার্ড করা নিয়ে প্রয়োজনীয় আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ-অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনিকেতন লাগোয়া রূপপুর পঞ্চায়েত দফতরের সামনে।
পঞ্চায়েত প্রধান, তৃণমূলের নীলিমা চৌধুরীর সাফাই, “রবিবার সাপ্তাহিকী ছুটির দিন। স্বাভাবিক নিয়মের জন্য রবিবারও বন্ধ থাকবে। তাই আলাদা করে বলা হইনি।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর ব্লকের রূপপুর পঞ্চায়েতের শ্যামবাটি, গোয়ালপাড়া, রতনপল্লি, বনেরপুকুরডাঙা-সহ বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের জন্য আধার কার্ডের কাজকর্ম শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। ব্লক সূত্রে খবর, গত দু’দিনে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনের আধার কার্ডের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন করা হয়েছে। রবিবার ছু’টির দিন। তাই পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা মল্লিকা টুডু, মোনালিসা সাউ, জাহানারা বিবি, হামিদা বিবি, আঙ্গুরা বিবিদের ক্ষোভ, “আধার কার্ড করতে দু’দিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সময় চলে যাচ্ছে। রবিবারও অনেক ভোরে লাইন দিতে হয়েছে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও অফিস খোলেনি। অথচ যে নির্দেশিকা অনুযায়ী রবিবার ছিল শেষ দিন। কিন্তু এসে দেখি অফিস বন্ধ।” তাঁরা বলেন, “রবিবার ছুটির দিনে আধার কার্ডের কাজকর্ম হবে না সেটা কর্তৃপক্ষ আগে জানাতে পারত। তা হলে অন্য কাজকর্ম ফেলে সকাল থেকে এসে লাইন দিতাম না।” এর পরেই ক্ষোভে বোলপুর-সিউড়ি রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। এর ফলে ওই রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে দুপুর ১২টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
বোলপুরের বিডিও শমিক পাণিগ্রাহী বলেন, “দু’দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, আধার কার্ড সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সংশোধনী এবং অন্য বিষয়গুলি নিয়ে আগামী ৪ এপ্রিল থেকে আলাদা করে ব্লক অফিসে একটি আধার কার্ড বিষয়ক বিভাগ করা হচ্ছে।”