দুর্ঘটনা: ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তায় জারগো মোড়ের অদূরে। নিজস্ব চিত্র
সামনের চাকা ফেটে জলাশয়ে উল্টে গেল বাস। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। আহত হয়েছেন ২৬ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ন’জনের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার সকাল ৮টা লাগাদ বাঘমুণ্ডি থেকে পুরুলিয়া যাওয়ার পথে ঝালদার জারগো মোড়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত গণেশ রায়ের (৩০) বাড়ি বাঘমুণ্ডির কালিমাটি গ্রামে। ফল ব্যবসায়ী গণেশ ব্যবসার কাজে পুরুলিয়া যাচ্ছিলেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশের দাবি, বাসের সামনের একটি চাকা ফেটে যাওয়ায় চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রাস্তার পাশে একটি জলাশয়ে পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার আহতদের উদ্ধার করে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিক্ষুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় গণেশের। তাঁর মাথায় এবং শরীরের নানা জায়গায় আঘাত ছিল। হাসপাতাল সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে ন’জনকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঝালদা হাসপাতালে যান বাঘমুণ্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো।
প্রত্যক্ষদর্শী জারগো গ্রামের ফুলচাঁদ মাহাতো, কিঙ্কর মাহাতোদের বর্ণনায়, ‘‘বিকট একটা শব্দ কানে আসার পয়ে দেখি, একটা বাস উল্টে যাচ্ছে। প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।’’ কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার উদ্ধার কাজ শুরু করেন। আসেন এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজ ও ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষ। জখম ২৬ বাসযাত্রীকে অ্যাম্বুল্যান্স ও কয়েকটি গাড়িতে ঝালদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের যাত্রী বুধনীবালা সিং মুড়া, প্রশান্ত সিং মুড়া, শিভম রজক বলেন, ‘‘বাসের মাঝামাঝি সিটে বসেছিলাম। হঠাৎ কানে বিকট একটা আওয়াজ এল। দেখি, বাসটা রাস্তা উল্টে যাচ্ছে। চিৎকার করে উঠি। স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের বাঁচান।’’
অভিযোগ উঠেছে, ওই রুটের বেশির ভাগ বাসই ক্ষয়ে যাওয়া চাকা লাগিয়েই চলছে। এ দিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির চাকার অবস্থাও খারাপ ছিল। বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব। নজরদারি হবে।’’