ফোঁটা দিতে যাওয়ার পথে মৃত্যু তরুণীর

ভাইফোঁটা দিতে যাওয়ার পথে টোটো উল্টে মৃত্যু হল এক তরুণীর। বুধবার সকালে রামপুরহাট– পারুলিয়া রাজ্য সড়কের উপর মাড়গ্রাম থানার বশোয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৩৪
Share:

ভাইফোঁটা দিতে যাওয়ার পথে টোটো উল্টে মৃত্যু হল এক তরুণীর। বুধবার সকালে রামপুরহাট– পারুলিয়া রাজ্য সড়কের উপর মাড়গ্রাম থানার বশোয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায় মৃত তরুণীর নাম মল্লিকা মাল (১৮)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার গাফুল গ্রামে।

Advertisement

ঘটনার সময় তরুণীর একমাত্র পুত্র দেড় বছরের রণি সঙ্গে ছিল। কিন্তু দিদার কোলে থাকার জন্য তার কিছু হয়নি। দিদার কোলে দেড় বছরের পুত্র ছাড়াও পাশে বসে বারো বছরের বোন পায়েল। খুড়তুত বোন, কাকা, ভাগ্নে, সব মিলিয়ে একটা টোটোতে গাদাগাদি করে ন’ জন যাত্রী। মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর থেকে সেই টোটো ১০০ টাকা ভাড়ায় যাচ্ছিল বাতিনা গ্রামের উদ্দেশ্যে। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটোটি উল্টে যায়। মাথার পিছনে আঘাত লাগে মন্নিকার। রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতি বছরের মতো মল্লিকারা ভাইফোঁটার দিন মামার বাড়ি বাতিনা যাচ্ছিল। সেই জন্য বাতিনা গ্রামেও ফোঁটার আয়োজনও চলছিল। কিন্তু পথে দুর্ঘটনায় যে ভাগ্নী মারা যাবে সেটা ভাবতে পারেনি মামা দীপেশ মাল। রামপুরহাট হাসপাতালে জরুরী বিভাগের সামনে স্টেচারে শোয়ানো মৃত ভাগ্নীকে দেখে ডুকরে কেঁদে উঠলেন দীপেশ মাল। জানালেন, বাড়িতে ফোঁটার আয়োজন কমপ্লিট। ভাগ্নীরা পৌঁছালেই ফোঁটা শুরু হতো। কিন্তু তার মাঝেই এই দুর্ঘটনা সব আয়োজন মাটি করে দিল।

Advertisement

মল্লিকাদের সঙ্গে যাচ্ছিল বাতিনা গ্রামে যাচ্ছিল মল্লিকার কাকা রাহুল মাল। দুর্ঘটনায় অল্পবিস্তর আঘাত পেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘বিষ্ণুপুর থেকে ভালোই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল টোটো চালক। বশোয়া গ্রামের ভিতর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে কীভাবে যে টোটো উল্টে গেল বুঝতে পারিনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement