বদলের পরে। নিজস্ব চিত্র
শিবরাত্রির আগের দিন আমিষ খাবেন না বলে জানিয়েছিলেন বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ডাক পাওয়া মহিলা উপভোক্তাদের অনেকে। তাঁদের দাবি মতোই, শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি প্রশাসন নিরামিষ জলখাবারের ব্যবস্থা করল। এ দিন প্যাকেটে ডিম-কলার বদলে প্যাটি, মিষ্টি, কমলালেবু কিংবা লুচি-বাঁধাকপি পেয়ে স্বস্তি পেলেন তাঁরা।
এ দিন সভাস্থল থেকে বেরিয়ে জলখাবারের প্যাকেট খুলে দেখছিলেন ছাতনার বধূ প্রমীলা কর্মকার, রীতা দে। তাঁরা বলেন, “শিবরাত্রির আগের দিন নিরামিষ খাবার ছাড়া খাব না আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম। প্যাকেট খুলে দেখি লুচি, বাঁধাকপির তরকারি ও মিষ্টি রয়েছে। ভালই খেলাম।” বাঁকুড়া ১ ব্লকের বধূ শিউলি রুদ্র, কুমকুম দাসেরা জানান, টিফিনে তাঁদের প্যাটি, মিষ্টি, বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। নিরামিষ খাবার পেয়ে খুশি তাঁরাও।
তবে মুষড়ে পড়েছেন পুরুষরা। হিড়বাঁধের পবন পতি, গৌতম প্রামাণিকেরা বলেন, “টিফিনে ডিম নেই, পেট ভরানো কোনও খাবার নেই দেখে খুবই আফসোস হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভা দেখতে এসে প্রশাসনের টিফিন খেয়ে রসনাতৃপ্তি হবে আশা করেছিলাম। সেখানে কেবল প্যাটি আর মিষ্টি খেয়ে কি পেট ভরে!’’ জেলার এক বিডিও বলেন, “প্রথমে আমিষ খাবারের ব্যবস্থাই ছিল। শিবরাত্রির বিষয়টি জানতে পারার পরে তা বাতিল করা হয়। দোকানদার নিরামিষ কেক জলখাবারে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মহিলাদের মনে যাতে কোনও সংশয় না থাকে, তাই তা বাতিল করা হয়।” জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “জলখাবার যাতে নিরামিষ হয়, সে জন্য রাতে দু’দফায় বৈঠক করতে হয়েছে। যাক শেষ পর্যন্ত সব ভালয় ভালয় মিটেছে।”