Awas Yojana

‘একশো কাঁচা বাড়ি, নাম মাত্র ১৭ জনের’! বাঁকুড়ায় আবাস সমীক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ, শেষ হল না কাজ

তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন থাকার কারণে বাঁকুড়ায় নির্বাচনী বিধি জারি হয়েছিল। ফলে ওই জেলায় সমীক্ষার কাজ থমকে ছিল। উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সমীক্ষা শুরু হয়েছে আবার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৩০
Share:

সমীক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ মহিলাদের। —নিজস্ব চিত্র।

প্রায় একশোর বেশি পরিবার মাটির বাড়িতে থাকে। কিন্তু তালিকায় নাম উঠেছে মোটে ১৭ জনের! এমনই অভিযোগ নিয়ে শোরগোল বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার গোগড়া ক্ষেত্রপাল এলাকায়। মঙ্গলবার আবাসের সমীক্ষা করতে গিয়ে এলাকার মহিলাদের ক্ষোভের মুখে পড়ল সমীক্ষক দল। শেষমেশ সমীক্ষা অসমাপ্ত রেখেই ফিরে যেতে হয়েছে ওই সমীক্ষক দলকে। আর তার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Advertisement

রাজ্যে জুড়ে আবাসের সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন হল। তবে তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন থাকার কারণে বাঁকুড়ায় নির্বাচনী বিধি জারি হয়েছিল। ফলে ওই জেলায় সমীক্ষার কাজও থমকে ছিল। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আবার সমীক্ষা শুরু হয়েছে। বস্তুত, সমীক্ষার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ৮০০টি দলে ভাগ করা হয়েছে সমীক্ষকদের। কিন্তু সমীক্ষার শুরুতেই ধাক্কা খেল কাজ। মঙ্গলবার সকালে চার জনের একটি সমীক্ষক দল ক্ষেত্রপাল পাড়ায় সমীক্ষার কাজে গিয়েছিল। সমীক্ষার কাজ যখন শেষ পর্যায়ে তখন আচমকা সমীক্ষক দলকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার মহিলারা। তাঁদের দাবি, এলাকায় শতাধিক পরিবার কাঁচা বাড়িতে বসবাস করে। বারংবার সমীক্ষা করেও তাঁদের নাম আবাসের তালিকায় ঢোকেনি। অথচ যে পরিবারগুলি একবার আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছে, তাদের নাম আবার তালিকাভুক্ত হচ্ছে। সমীক্ষক দল বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ থামেনি।

কোতুলপুর ব্লকের গোগড়া ক্ষেত্রপাল পাড়ার বাসিন্দা টুম্পা ক্ষেত্রপাল বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামে একশোটি পরিবার মাটির বাড়িতে বসবাস করে। অধিকাংশ বাড়ির দশা খারাপ। সমীক্ষা হয়। কিন্তু তাদের নাম ওঠে না। অন্য দিকে, এক বার যাঁরা সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন, তাঁরাই আবার বাড়ি পাচ্ছেন!’’ ওই মহিলা আরও বলেন, ‘‘এমন সমীক্ষার আমাদের কোনও প্রয়োজন নেই। তাই আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি।’’ বিশ্বজিৎ ক্ষেত্রপাল নামে আর এক স্থানীয় যুবকও একই কথা বলছেন। তাঁর কথায়, ‘‘সমীক্ষার গন্ডগোলে বেশির ভাগ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। কাজ ঠিক ভাবে না হলে মানুষ তো প্রতিবাদ করবেনই।’’

Advertisement

সমীক্ষক দলের দাবি অবশ্য ভিন্ন। তারা অন্য কথা বলছে। কাজ শেষ না করে ফিরে যেতে বাধ্য হওয়া সমীক্ষক দলের আধিকারিক শ্যামসুন্দর হাটি বলেন, ‘‘আবাস তালিকায় যে পরিবারগুলির নাম রয়েছে, শুধু তাদের পরিবারেই সমীক্ষা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।’’ কোতুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কোহিনূর খাতুনও বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আবাসের উপভোক্তা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, শুধু সেগুলির উপর সমীক্ষা হচ্ছে।’’ যদিও বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement