ক্যামেরায় ধরা পড়ল জোড়া নেকড়ের ছবি। নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গলের রাস্তায় বন দফতরের আধিকারিকের ক্যামেরায় ধরা দিল জোড়া নেকড়ে। বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের পিড়রাবনি এলাকায় ওই নেকড়ে দু’টিকে ফ্রেমবন্দি করেছেন বন বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিক। নেকড়ের ছবি ধরা পড়ার পর উচ্ছ্বসিত বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের কর্মীরা।
বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে নেকড়ে-বাসের প্রমাণ আগেও মিলেছে। জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদেরও চোখে পড়ে তাঁদের আনাগোনা। কিন্তু বাঁকুড়ার জঙ্গলে এই প্রথম ফ্রেমবন্দি হল দু’টি নেকড়ে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পিড়রাবনির জঙ্গলে ফ্রেমবন্দি হওয়া নেকড়ে দু’টির মধ্যে একটি পুরুষ, অন্যটি নারী। রাতে পিড়রাবনি জঙ্গলে হাতির অবস্থান দেখে গাড়িতে ফেরার পথে আচমকাই জঙ্গলের রাস্তার ধারে নেকড়ে দু’টিকে দেখতে পান ওই আধিকারিক। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গাড়ির ভেতর থেকেই নেকড়ে দু’টির ছবি তোলেন। বন দফতরের ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘মানুষের উপস্থিতি টের পেলে নেকড়েরা সাধারণত দ্রুত অন্যত্র চলে যায়। কিন্তু নেকড়ে দু’টি আমাদের উপস্থিতি টের পেয়েও প্রায় এক মিনিট ধরে ওই এলাকাতেই ছিল। এতেই বোঝা যায়, নেকড়েরা নিজেদের এই জঙ্গলে নিরাপদ ভাবতে শুরু করেছে।’’
পিড়রাবনির জঙ্গলে নেকড়ের উপস্থিতি টের পাওয়ার পর ওই এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বন দফতর। বন দফতরের কেন্দ্রীয় চক্রের মুখ্য বনপাল এস কুলানডাইভেল বলেন, “বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে নেকড়ের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর নেকড়ে-জাতীয় প্রাণীর সংখ্যাবৃদ্ধি প্রমাণ করে, জঙ্গলগুলিতে তৃণভোজী প্রাণীর সংখ্যা বাড়ছে। জঙ্গলগুলির বাস্তুতন্ত্র আরও ভাল হচ্ছে। বাঁকুড়ার মানুষ বণ্যপ্রাণ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই আলাদা করে নেকড়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। নেকড়ে সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে না। তাই স্থানীয়দেরও ভয়ের কিছু নেই।”