Winter

মাঝের মাঘে শীতের কামড়, ফিরল সোয়েটার

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শীতকালীন মরসুমে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে একটু বেশিই ছিল। ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন এ বার শীতের বিদায় নেওয়ার পালা এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:২৪
Share:

কনকনে: দিনেও গায়ে দিতে হচ্ছে গরম পোশাক। সোমবার বোলপুরের রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র

মাঘের শীত নাকি ‘বাঘা’ শীত। কিন্তু গত কয়েক বছরে মাঘে শীতের তেমন প্রকোপ বোঝা যায়নি। এ বার অবশ্য গত কয়েকদিনে পারদ যেভাবে নেমেছে তাতে জেলাজুড়ে ফের শীতের আবহ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা শীতকালীন মরসুমে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে একটু বেশিই ছিল। ফলে অনেকেই ভেবেছিলেন এ বার শীতের বিদায় নেওয়ার পালা এসেছে। অনেকে শীতের গরম পোশাক ছেড়ে দিয়ে হালকা পোশাক গায়ে চড়াতে শুরু করেছিলেন। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, আগামী দু-একদিনে পারদ অনেকখানি নামতে পারে।

একই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এরপরই হঠাৎই বৃহস্পতিবার দিন ও রাতভর শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলার কারণে শুক্রবার বীরভূম জেলায় এক ধাপে পারদ নেমে চলে আসে ১২.৩ ডিগ্রিতে। তবে দু’দিন ধরে দিনে ও রাত্রে বেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলার কারণে তাপমাত্রা আরও খানিকটা নীচে নেমে গিয়েছে। যারা শীতের বিদায় নেওয়ার পালা এসেছে ভেবে গরম জামাকাপড় তুলে রেখে দিয়েছিলেন, এক ধাক্কায় পারদ অনেকটাই নেমে যাওয়ায় আবার সেগুলি গায়ে চড়াতে হচ্ছে।

Advertisement

শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করায় ৩১ জানুয়ারি এক ধাক্কায় পারদ ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এরপর শনিবার ১ ফেব্রুয়ারি তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ৯.২ ডিগ্রিতে। রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার সকালে আরও কিছুটা তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ৮.৪ ডিগ্রিতে। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে অনেকটাই কম ছিল। এ দিন বীরভূমে ছিল শীতলতম দিন‌। শুক্রবার থেকে যেভাবে পারদ নামতে শুরু করেছে তাতে আবারও জেলা জুড়ে কনকনে শীতের আমেজ তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে আবারও ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন শহরবাসী।

এ দিন সকালে ও রাতের দিকে শহরের একাধিক জায়গায় হাত-পা আগুনে সেঁকতে দেখা গিয়েছে পথচারীদের। এ দিন সকাল থেকেই শৈত্যপ্রবাহ চলতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস গড়াই, জীবন দাস, পরেশ পালরা বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম এ বার হয়তো শীত বিদায় নিচ্ছে। কিন্তু উল্টে গত তিনদিন ধরে যে হারে ঠান্ডা পড়েছে তাতে মনে হচ্ছে ঠান্ডা আরও বেশ কিছুদিন থাকবে।’’ বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ঠান্ডার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের জন্য সকালে ও সন্ধ্যার পর কোনও ভাবেই বাড়ি থেকে বেরোনো যাচ্ছে না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সকাল ও সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে কম বেরোচ্ছেন অনেকেই। শ্রীনিকেতন আবহাওয়া অফিসের অফিসার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিষ্ণুপ্রসাদ কোনাই বলেন, ‘‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে কয়েকদিন তাপমাত্রার কিছুটা হেরফের ঘটবে। আগামী দু-এক দিনে আরও কিছুটা তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মাঝে আগামী বুধবার মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement