স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক ম্যানেজারকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
শুক্রবার বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার লাউতোড়ের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃত তরুণীর নাম দীপান্বিতা রাহা (২৯)। তাঁর বাপের বাড়ির উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে দীপান্বিতার সঙ্গে বিয়ে হয় ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জের বাসিন্দা নবকুমার রাহার। নবকুমারবাবু বর্তমানে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার কোটাসুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পদে কর্মরত। তিনি স্ত্রী এবং বছর আড়াইয়ের শিশুপুত্রকে নিয়ে লাউতোড় এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ ওই বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দীপান্বিতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
নবকুমারবাবুর দাবি, ‘‘আমি তখন অফিস থেকে সবে বাড়ি ফিরেছিলাম। প্রায় একই সময়ে স্ত্রী-ও মন্দির থেকে পুজো দিয়ে ফেরে। তার পর আমি বাথরুমে যাই। ফিরে দেখি পাশের ঘরে স্ত্রী দরজায় খিল দিয়ে ঢুকে পড়েছে। কোনও রকমে দরজা খুলে ঢুকে দেখি গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে।’’ কী কারণে দীপান্বিতা এমনটা করলেন, তা বলতে পারেননি নবকুমারবাবু। যদিও ঘটনায় জামাইকেই দায়ী করেছেন মৃত তরুণীর বাবা মনোজকুমার দাস। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে মেয়ের উপরে নির্যাতন করা হতো। তারই জেরে ও আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।’
পুলিশ জানায়, মৃত বধূর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।