WB Panchayat Election 2023

অনুব্রতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলা সেই শিবঠাকুরের স্ত্রীকে পঞ্চায়েতে টিকিট দিল তৃণমূল

শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন। লিপিকার দাবি, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবেসে দল করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৩ ১৬:৫৩
Share:

বিডিও অফিসে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে ঢোকার আগে লিপিকা। — নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা করেছিলেন শিবঠাকুর মণ্ডল। তাঁর স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন তৃণমূলের হয়েই। বিরোধী সিপিএমের অভিযোগ, অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে তৃণমূলই শিবঠাকুরকে দিয়ে অভিযোগ করিয়েছিল। পঞ্চায়েতে টিকিট দিয়ে তারই ‘প্রতিদান’ দিচ্ছে তৃণমূল। যদিও এতে আপত্তির কিছু দেখছে না তৃণমূল।

Advertisement

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে দিল্লি এনে জেরা করতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে অনুমতি দিয়েছিল দিল্লির একটি আদালত। তার পরই অনুব্রতের বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শিবঠাকুর। পরের দিনই আদালতে হাজির করিয়ে কেষ্টকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেড় বছরের পুরনো ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে দায়ের হওয়া অভিযোগের বয়ান নিয়ে সেই সময় প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও শিবঠাকুরের দাবি ছিল, ভয়ে তিনি এত দিন অভিযোগ দায়ের করেননি। সেই শিবঠাকুরের স্ত্রী লিপিকা বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বনকাটি, ১৬৫ নম্বর সংসদ থেকে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনি লড়াই করবেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর লিপিকা বলেন, ‘‘দিদিকে ভালবাসি। দল উপযুক্ত মনে করেছে বলে সুযোগ দিয়েছে।’’

এ নিয়ে অবশ্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘শিবঠাকুরের বিষয়টি পুরোটাই সাজানো। কেষ্ট মণ্ডলের দিল্লি যাওয়া ঠেকাতে তাঁদের উকিলের পরামর্শেই এ সব হয়েছে। এ বার ওঁকে পুরস্কার দেওয়া হল।’’

Advertisement

স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘ওখানকার যাঁরা নেতৃত্ব তাঁরা নিশ্চয়ই স্থানীয় মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং মনে করেছেন লিপিকা মানুষের সঙ্গে থাকতে পারবেন, মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন। কারও জন্য কেউ পুরস্কৃত হচ্ছেন, ব্যাপারটা এ রকম নয়। মানুষের পাশে সততার সঙ্গে যিনি থাকবেন, তাঁকে মেনে নিতে আপত্তি করার কী আছে! আমরা শুধু দেখি তাঁর মধ্যে মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা আছে কি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement