রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতল। —ফাইল চিত্র।
আর জি কর কাণ্ডের পরই রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘হুমকি-সংস্কৃতি’ চলার অভিযোগ সামনে এসেছিল। সেই সূত্রেই সামনে আসে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত চিকিৎসক অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসদের নাম। এ বার তাঁদের সঙ্গে রামপুরহাট মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করবী বড়ালের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার অংশবিশেষ ছড়াল সমাজমাধ্যমে। করবী অবশ্য দাবি করেছেন, চিকিৎসকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে, যেখানে শতাধিক সদস্য রয়েছেন, সেখানে কোনও কথোপকথনের অংশবিশেষ তুলে এনে অনর্থক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।
আর জি কর কাণ্ডের পরে বার বার উঠে এসেছে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভীক দে-র নাম। চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় আর জি করের সেমিনার রুমে তাঁর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল নানা মহলে। সেই সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন চিকিৎসক ‘প্রভাবশালী’ বিরূপাক্ষ বিশ্বাসেরও নাম উঠে আসে। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার দু’জনকেই সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য ভবন। ওই দু’জনের সঙ্গে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আর এক ‘প্রভাবশালী’, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত চিকিৎসক মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার অংশবিশেষ ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। আনন্দবাজার পত্রিকা ওই কথোপকথনের সত্যতা যাচাই করেনি।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কথোপকথনের অংশে করবী বড়ালের সঙ্গে অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকদের সঙ্গে কবে ওই কথাবার্তা হয়েছিল তা দেওয়া নেই। কথোপকথনের ছবিতে করবীর তরফে অভীক দে-কে এসএসকেএম হাসপাতালে শল্যচিকিৎসায় স্নাতকোত্তর পড়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা এবং ‘ভবিষ্যতে আরও বড় জায়গায় গিয়ে জবাব দেওয়া’ সংক্রান্ত করবীর বার্তা দেখা যাচ্ছে। বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের থেকে ‘মনের সাহস’ পাওয়ার ও মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিকের থেকে ‘নেতৃত্ব’ শেখার কথাও করবী বলেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
করবী বলেন, ‘‘এগুলো কবেকার আমার মনেই নেই। এই সমস্ত কথোপকথন এমন গ্রুপে হয়েছে যেখানে পাঁচশো থেকে ছশোজন রয়েছে। তার আগের বা পরের কথাবার্তা, কী প্রসঙ্গে এই কথা, কোনও কিছুই তুলে ধরা হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কোন প্রেক্ষিতে কথাগুলো বলা হয়েছে তা জানলে সেটা বুঝতে পারা যেত।’’ তবে কেউ কোথাও পড়ার সুযোগ পেলে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো ভুল কেন হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন করবী। তিনি বলেন, ‘‘এখন এই সমস্ত কথাবার্তা অনেক সমাজমাধ্যমে আসবে। সত্যি কথা বলতে অভীক দে যখন এসএসকেএম এমএস পড়তে সুযোগ পেল, সেক্ষেত্রে তাকে অভ্যর্থনা জানানো কি খারাপ? কেউ কি আগে পরে ভেবে সবকিছু জেনে বুঝে মানুষের সঙ্গে মেশে?’’