হাজির: বাস চলাচল শুরু হতে বাঁকুড়া শহরে মিলছে নবদ্বীপের লালদই। মাচানতলা এলাকায় রবিবার। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
যাত্রী-স্বার্থে বাস চলাচল চালু রাখলেও লোকসানের বোঝা কমাতে সরকারি পদক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছেন পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বাস মালিকেরা।
জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলায় মোট ৪৯টি রুটের মধ্যে বেশ কয়েকটি ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। আপাতত তেমন ১১টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ। বাকি ৩৮টি রুটে সাধারণ সময়ে কমবেশি ৩২০টির বেশি বেসরকারি বাস চলে। এখন চলছে আড়াইশোর কাছাকাছি। যাত্রীদের দাবি, সেই বাসও মাঝেমাঝেই বেশ অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘লকডাউন শুরুর সময়ে ডিজেলের যা দাম ছিল, এখন তা অনেকটাই বেড়েছে। বেড়েছে আনুষঙ্গিক খরচও। তবে যাত্রীর সংখ্যা বিশেষ বাড়েনি। লোকসান মাথায় নিয়েই বাস চালাতে হচ্ছে।’’ তবে তিনি জানান, ক্ষতি হলেও যাত্রীদের স্বার্থে বাস চালানো হবে। আমাদের সমস্যার কথা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।
আনলক পর্ব শুরুর পরে ধাপে ধাপে বাঁকুড়াতেও বেড়েছে বাস চলাচল। বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর রুটের নিত্যযাত্রী শঙ্কর বারুই জানান, আনলক পর্বের শুরুতে বাস পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছিল। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। জেলা বাসমালিক কল্যাণসমিতির দাবি, জেলার বিভিন্ন রুটের সাড়ে চারশোর মধ্যে একশোর বেশি বাস পথে নেমেছে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লোকসানের বোঝা নিয়েই বাস চালাতে হচ্ছে। ডিজেলের দাম অনেক বেড়েছে। অথচ ভাড়া বাড়েনি। যাত্রীর সংখ্যাও হাতেগোনা। বাস চালানোর খরচটুকুও উঠছে না। তবে যাত্রীদের স্বার্থে বাস চলবে। ভাড়া বাড়লে ভাল হয়।’’