Raghunathpur

ত্রাণ কই, বিক্ষোভ চলল পঞ্চায়েতে

‘লকডাউন’ অগ্রাহ্য করেই এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ খাজুরা গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জমায়েত হয়েছিলেন পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০২:১৪
Share:

খাজুরায় বিডিও (রঘুনাথপুর ১) এবং থানার আইসি। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত থেকে চাল, ডাল দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ব্লকের খাজুরায়। আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান গ্রামের দরিদ্রদের খাবার দেওয়ার জন্য অর্থ ও চাল সংগ্রহ করেও তা বিলি করেননি। মঙ্গলবার একাধিক অভিযোগ তুলে খাজুরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি।

Advertisement

‘লকডাউন’ অগ্রাহ্য করেই এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ খাজুরা গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জমায়েত হয়েছিলেন পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিডিও (রঘুনাথপুর ১) অনির্বাণ মণ্ডল ও রঘুনাথপুর থানার ওসি সন্দীপ চট্টরাজ।

খাজুরা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খাজুরা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ আগেও খাদ্যসামগ্রী বিলি নিয়ে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, অন্য পঞ্চায়েতগুলি গ্রামের দরিদ্রদের কাছে চাল, ডাল, আলু পৌঁছে দিলেও, সে কাজ করছেন না খাজুরা পঞ্চায়েতের প্রধান। গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা জেনেছিলেন, পঞ্চায়েত প্রধান কয়েকজনের থেকে অর্থ ও চাল সংগ্রহ করেছেন। বিক্ষোভে সামিল গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, ‘‘প্রধান গ্রামের দুঃস্থদের সাহায্য করার জন্য অর্থ ও চাল সংগ্রহ করেও, তা বিলি করেননি। মজুত করে রেখেছেন।’’

Advertisement

ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ প্রথমেই পঞ্চায়েতের সামনে থেকে ভিড় সরিয়ে দেয়। পরে কয়েকজন বিক্ষোভকারীর সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দেন বিডিও।

এ দিকে, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর অভিযোগ মানতে চাননি খাজুরার তৃণমূলের প্রধান আদিত্য মণ্ডল। তাঁর দাবি, ‘‘কারও থেকে টাকা নিইনি। স্থানীয় একটি চালকল ৫০ কেজি চাল দিয়েছিল। তার অর্ধেক বিলি করা হয়েছে। বাকি অংশ গ্রামেরই এক বাসিন্দার বাড়িতে রয়েছে।’’ পঞ্চায়েত কার্যলয়ে জায়গার অভাব থাকায় চাল সেখানে রাখা যায়নি বলে দাবি প্রধানের। তিনি আরও বলেন, ‘‘লকডাউনে অনেকেরই রোজগার বন্ধ। পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে চাল, ডাল ও আলু কিনে পঞ্চায়েত সদস্যদের মাধ্যমে বিলি করা হয়েছে। তার পরেও কেন এই অভিযোগ উঠছে, তা বুঝতে পারছিনা।’’

প্রশাসন জানিয়েছে, খাজুরা গ্রামের যে বাসিন্দারা সরকারি ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য, তাঁদের চাল, গম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, কারও, কোনও সমস্যা থাকলে তা প্রশাসনকে জানানোর জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেছেন বিডিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement