সাবধানে: আসছে যাত্রিবাহী ট্রেন। পুরুলিয়া স্টেশন জীবাণুমুক্ত করা চলছে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’ ঘোষণার দু’দিন আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ৬৮ দিন পরে, সোমবার থেকে ফের শুরু হল যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা। এই পর্বে যে ট্রেনটি প্রথম পুরুলিয়ায় এল, সেটি টাটানগর-দানাপুর এক্সপ্রেস।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ১০টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি আপ টাটানগর-দানাপুর এক্সপ্রেস পুরুলিয়া স্টেশনে ঢোকে। সংরক্ষিত টিকিটের যাত্রীরাই ট্রেনে ওঠার সুযোগ পেয়েছেন। ট্রেন থেকে এ দিন ১১ জন পুরুলিয়া স্টেশনে নামেন। পুরুলিয়া থেকে ওঠেন ১৮ জন। প্রত্যেক যাত্রীর নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে রাখা হয়েছে। সমস্ত যাত্রীকেই ‘থার্মাল স্ক্যানার’ দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। দেওয়া হয় ‘স্যানিটাইজ়ার’। রেল রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছিল প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন চত্বরে।
এ দিন ওই ট্রেনে পুরুলিয়া স্টেশনে নেমেছেন পুরুলিয়া ২ ব্লকের সিদপুর গ্রামের এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘পেশাগত কাজে মাঝেমাঝেই টাটানগরে থাকতে হয়। সেখানে গিয়ে লকডাউন ঘোষণায় আটকে পড়ি। ফেরার উপায় ছিল না।’’ ওই ব্যক্তি জানান, ১ জুন থেকে ট্রেন চলবে জানার পরেই টিকিট কেটেছিলেন।
একই ট্রেনে বাড়ি ফিরেছেন পুরুলিয়া ১ ব্লকের ভুল গ্রামের এক ব্যক্তি। পেশাগত কারণে তিনি থাকেন ঝাড়খণ্ডের কান্ডরায়। বলেন, ‘‘লকডাউন ঘোষণার বেশ কিছু দিন আগেই গিয়েছিলাম। মার্চের শেষে ফিরব বলে ঠিক ছিল। লকডাউনে আটকে পড়ি।’’ পুরুলিয়া স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিহারের সিওয়ানের এক বাসিন্দা। তাঁর কথায়, ‘‘পুরুলিয়ায় এসে আটকে পড়েছিলাম। একটা সময়ে হেঁটে যাব ঠিক করেছিলাম। তার পরে শুনলাম ট্রেন চলবে। অনেক দিন পরে বাড়ি যাচ্ছি ভেবেই ভাল লাগছে।’’