নবাগতদের গড়তে  বিজেপির পার্টি ক্লাস

বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, গত বিধানসভা ভোটে পুরুলিয়া জেলায় তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল দেড় লক্ষেরও কম। কিন্তু, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে দলের ভোট পাঁচ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে! জেলার ৪৪টি মণ্ডল কমিটি গঠনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সদস্য সংখ্যাও। জেলায় ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপির দখলে এসেছে ৫৯টি পঞ্চায়েত, পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতি। এর সঙ্গে জেলা পরিষদ ৯টি (দলের দাবি ১০টি) আসনও জিতেছে বিজেপি।

Advertisement

প্রশান্ত পাল

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৭
Share:

শূন্য থেকে শুরু করে একের পর এক পঞ্চায়েত দখলে নিয়ে পুরুলিয়ায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সভা করতে এসে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রেও বিজেপিকে জেতাতে টার্গেট বেঁধে দেওয়ায় উঠেপড়ে লেগেছে দল। সংগঠন মজবুত করতে তাই এ বার বিজেপির জেলা নেতৃত্বের উদ্যোগেই শুরু হয়েছে পার্টি ক্লাস। যার পোশাকি নাম ‘শিক্ষা শিবির’। দলের বিভিন্ন স্তরের কার্যকর্তাদের নিয়েই এই শিবির শুরু হয়েছে।

Advertisement

বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, গত বিধানসভা ভোটে পুরুলিয়া জেলায় তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল দেড় লক্ষেরও কম। কিন্তু, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে দলের ভোট পাঁচ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে! জেলার ৪৪টি মণ্ডল কমিটি গঠনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সদস্য সংখ্যাও। জেলায় ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপির দখলে এসেছে ৫৯টি পঞ্চায়েত, পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতি। এর সঙ্গে জেলা পরিষদ ৯টি (দলের দাবি ১০টি) আসনও জিতেছে বিজেপি।

দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী জানান, গত দুর্গাপুজোর আগে থেকে তাঁরা জেলা জুড়ে সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। তার ফল মিলেছে পঞ্চায়েত ভোটে। জেলায় দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। তাঁর দাবি, ‘‘শাসকদল তো বটেই, অন্যান্য দল থেকেও প্রতিনিয়ত বিজেপিতে মানুষজন আসছেন। কিন্তু দলে যোগ দিলেই তো দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। যাঁরা এত দিন অন্য দলে ছিলেন, তাঁদের বিজেপি কী, জনসঙ্ঘ কখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, জনসঙ্ঘের ইতিহাস কী, কী ভাবে জনসঙ্ঘ থেকে বিজেপি হল— কর্মীদের এ সব জানা প্রয়োজন। সে জন্যই এই শিক্ষা শিবিরের আয়োজন।’’

Advertisement

প্রতিটি মণ্ডলের শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ অর্থাৎ বুথ কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি থেকে সংশ্লিষ্ট বুথের বাছাই করা কর্মী, নির্বাচিত ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে জয়ী ও পরাজিত প্রার্থী থেকে নবাগতদের নিয়েই এই শিবির হচ্ছে। আগামী দিনে মানুষের অধিকার নিয়ে কী ভাবে লড়াই করতে হবে, পঞ্চায়েত গঠনের পর যেখানে বিজেপি বিরোধী আসনে রয়েছে, সেখানে কী ভাবে গঠনমূলক বিরোধিতা করতে হবে, কী ধরনের বিষয়কে ধরে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে— এ সব নিয়েই আলোচনা হচ্ছে এই শিক্ষা শিবিরে। এই শিবির থেকে বিভিন্ন এলাকায় দলের বক্তা তৈরি করাও অন্যতম লক্ষ্য।

বিদ্যাসাগরবাবুর কথায়, ‘‘এই শিবির শুধুমাত্র পুরুলিয়া জেলা বিজেপিরই কর্মসূচি। রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়েই হচ্ছে।’’ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই সাঁতুড়ি, রঘুনাথপুর ২ ও পুরুলিয়া ২ ব্লকে এই শিবির হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাকি ব্লকগুলিতেও একই ভাবে শিবির হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement