গণনাকেন্দ্রে দেওয়া খাবারের মান নিয়ে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের। — নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে খাবার পাননি বলে ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ভোটকর্মীরা। এ বার বীরভূমের খয়রোশোলে ভোটকর্মীদের বিক্ষোভ। তাঁদের অভিযোগ, দুপুর গড়িয়ে গেলেও অধিকাংশ কর্মীদের খাবার দেওয়া হয়নি। যে ক’জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে, তাঁদের নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হয়েছে।
খয়রাশোল ব্লকের নাকরাকোন্দা হাই স্কুলে চলছে ভোটগণনা। গণনাকর্মীদের অভিযোগ, দুপুর ৩টে বেজে গেলেও অধিকাংশ কর্মীকে এখনও খাবার দেওয়া হয়নি। কিছু জন খাবার পেলেও তা নিম্ন মানের বলে অভিযোগ। সিউড়ি থেকে এই স্কুলে ভোটগণনার জন্য এসেছেন অজয় সাহা। তিনি কাউন্টিং সুপারভাইজার। অজয় জানালেন, সকাল ৬টায় ক্যাম্পে এসেছেন তিনি। সিউড়ি থেকে ভোর ৪টের সময় বেরিয়েছেন। দুপুর ৩টে বেজে গেলেও এক কাপ চা পাননি। তিনি বলেন, ‘‘সকালে হালকা টিফিন ছিল। চারটে লুচি, ঘুঘনি আর মিষ্টি। তার পর ৩টে বেজে গিয়েছে। খাবার পাইনি। অথচ আমাদের খাবারের ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যা খাবার দেওয়া হয়েছে, তা খাওয়া যায় না।’’ অজয় এর জন্য প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন। এমনকি এ-ও জানিয়েছেন, খাবার না পেলে আর গণনার টেবিলে বসতে পারবেন না তাঁরা। অজয়ের কথায়, ‘‘এ সবের জন্য প্রশাসনই দায়ী। হিসাব থাকা উচিত, কত জনকে গণনাকেন্দ্রে ডাকা হয়েছে। খাবার না পেলে টেবিলে বসতে পারব না।’’
খাবার নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গঙ্গারামপুরের গণনাকর্মীরাও। তাঁদের দাবি, কেউ ভোর ৪টেয় তো কেউ ভোর ৫টায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। সকাল ৬টার মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন ভোটগণনা কেন্দ্র গঙ্গারামপুর কলেজে। কিন্তু ১১টা পর্যন্ত, তাঁদের জন্য কোনও রকম টিফিনের বন্দোবস্ত করা হয়নি। চা এবং দুপুরের খাবারের টোকেন দেওয়া হলেও খাবার কোথায় পাওয়া যাবে, তা নিয়ে কেউ সদুত্তর দিতে পারছেন না। এই অবস্থায় টিফিন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গণনাকর্মীরা।