শান্তিনিকেতন। শাটারস্টক থেকে নেওয়া ছবি।
করোনা-কালে পৌষ মেলা না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্বভারতী। তবে, নিয়ম মেনে ঘরোয়া ভাবে পালিত হবে পৌষ উৎসব। খ্রিস্ট উৎসবও পালিত হবে। একই সঙ্গে হবে বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠান। বুধবার সব ক’টি অনুষ্ঠানেক জন্য আমন্ত্রণ জানানো হল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
১৯২১-এ বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা হয়৷ সেই মতোই ২০২০তে তার শতবর্ষ৷ পৌষ উৎসবের মাঝেই আগামী ৮ পৌষ বিশ্বভারতীতে পালিত হবে শতবর্ষের সেই অনুষ্ঠান। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এ রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে রমেশ পোখরিয়ালকে৷
পৌষ উৎসব পালন ও শতবর্ষ উৎসবের জন্য বুধবার বিশ্বভারতীর তরফে একটি বৈঠক আয়োজিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী, রেজিস্টার ও বিশ্বভারতীর অন্য আধিকারিকরা। বৈঠকে উপস্থিত বিশ্বভারতীর অধ্যাপক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা আজ বৈঠক করেছি পৌষ উৎসব পালন ও শতবর্ষ অনুষ্ঠান নিয়ে। আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সকলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছি এই শতবর্ষের অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া পৌষ উৎসব কী ভাবে সুষ্ঠু ভাবে পালন করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’’
বৈঠক শেষে উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী নিজে মেলার মাঠের পাশে গড়ে ওঠা নবনির্মিত গেটগুলি পরিদর্শন করেন৷ মেলার মাঠের অংশে যাতায়াত কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।