সরব: বোলপুরে বামেদের কনভেনশন। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
বিশ্বভারতীর মেলার মাঠকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা দেওয়ার বিরুদ্ধে শনিবার একটি গণ-কনভেনশনের আয়োজন করল এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। কনভেনশনের মঞ্চ থেকে বাম গণসংগঠনগুলি ডাক দেয়, “মেলার মাঠে পাঁচিল চাই না, পাঁচিল ভাঙার নামে গুন্ডামি চাই না, আরএসএস-এর উপাচার্য চাই না, আমরা শান্তিনিকেতনে শান্তি চাই।’’
এ দিন সকাল ১০টা থেকে শান্তিনিকেতন দমকলের সামনে এই কনভেনশন হয়। জেলার নানা প্রান্ত থেকে শতাধিক ছাত্র-যুব যোগ দেন সেখানে। উপস্থিত ছিলেন এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, ডিওয়াইএফআই-এর যুগ্ম সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গৌতম ঘোষ প্রমুখ। সৃজনের দাবি, “বিশ্বভারতী রাজনৈতিক কুস্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।” কলতান বলেন, “উপাচার্যের ঔদ্ধত্য সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পড়ুয়া, অধ্যাপক, কর্মী, আশ্রমিক—কারও কথার গুরুত্ব না দিয়ে তিনি এক তরফা শাসন চালাচ্ছেন।’’ তবে, উপাচার্যের বিরুদ্ধে জনরোষকে কাজে লাগিয়ে ‘সংগঠিত’ ভাবে পৌষমেলা মাঠে তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ বাম নেতাদের। সৃজন প্রশ্ন তোলেন, “অসংগঠিত জনরোষে পে-লোডার এল কোথা থেকে?’’ তাঁদের অভিযোগ, শাসকদলের ইন্ধন রয়েছে ওই ঘটনার পিছনে। কনভেনশন মঞ্চ থেকে তাঁদের দাবি, শান্তিনিকেতনে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ না ফেরা পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে।
থানায় জেরা
শান্তিনিকেতন: শনিবার শান্তিনিকেতন থানায় ডাকা হল বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিক গণেশ মালিককে। এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে জেরা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, “ঠিক কোন এক্তিয়ারে বিশ্বভারতী ওই সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়েছেন, তা জানার জন্যই গণেশবাবুকে ডেকে পাঠানো হয়। তদন্তের স্বার্থে আগামীতেও তাঁকে ডেকে পাঠানো হতে পারে।’’ গত ১ অগস্ট উপাসনা মন্দিরের সামনে এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগও হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এ দিন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিককে ডেকে পাঠায় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। তবে, বিশ্বভারতীর তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।