বিশ্বভারতীততে পড়ুয়াদের টোটোয় চড়ে মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
গত মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর বন্ধ ছাত্রাবাস খোলার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু বুধবার দুপুর পর্যন্ত খোলেনি ছাত্রাবাস। এই ঘটনাকে সামনে রেখে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ভবনে অচলাবস্থা জারি রয়েছে।
তিনটি দাবিকে সামনে রেখে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন জারি বিশ্বভারতীতে। পড়ুয়াদের দাবি, অবিলম্বে হস্টেল খুলতে হবে, অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার সূচিবদল করতে হবে। গত মঙ্গলবার হস্টেল খোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু তার পর বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বভারতীর হস্টেল বন্ধই রয়েছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়ারা।
এর মাঝেই উপাচার্যের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি বলছেন,“হাই কোর্ট আমাদের সব বক্তব্য মেনে নিয়েছে। কিছু তথাকথিত ছাত্রছাত্রী আন্দোলন করছে। জানি না এর মধ্যে কত জন ছাত্র এবং কত জন বহিরাগত। অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টের পাশে ত্রিপল খাটিয়ে পড়ুয়াদের আন্দোলন চলছে। ফলে আমরা কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলতে পারছি না। কারণ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় আমাদের উপর চাপবে।’’ উপাচার্যের এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন আন্দোলনকারীরা। শুভ নাথ নামে এক আন্দোলনকারীরর কথায়, ‘‘উপাচার্য মিথ্যা কথা বলছেন। ওর বহিরাগত তত্ত্ব পুরো ভুল। আমরা পরিচয়পত্র দেখাতে প্রস্তুত। আগের মতো এ বারও আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছেন উপাচার্য।’’ বিদ্যুতের পদত্যাগের দাবিও করেছেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার হস্টেল খোলা এবং পরীক্ষা বয়কটের ডাক দিয়ে বিশ্বভারতী জুড়ে টোটো মিছিল করেন ছাত্রছাত্রীরা। প্রথমে তাঁরা টোটোয় চড়ে মিছিল করেন। পরে প্রত্যেক ভবনে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পরীক্ষা বয়কট করার আবেদনও করেন।