বিতর্কিত মেধা তালিকা মুছল বিশ্বভারতী কর্তপক্ষ। নিজস্ব চিত্র
চাপের মুখে বিতর্কিত মেধাতালিকা ওয়েবসাইট থেকে মুছে দিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার বদলে নতুন তালিকা প্রকাশ হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দ্রুত সংশোধিত মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে।
বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির ফলে এই বিপত্তি ঘটেছে। তাঁর মতে, বিশ্বভারতীতে যে কোনও বিভাগে ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ করতে হলে বিগত পরীক্ষাগুলিতে প্রাপ্ত নম্বর আবেদনকারীকে দিতে হয়। আবেদনপত্রে তা জানানোর জন্য দু’টি শূন্যস্থান থাকে। একটিতে পূর্ণ মান এবং অন্যটিতে প্রাপ্ত মান দিতে হয়। ওই আধিকারিকের দাবি, কোনও পড়ুয়া ভুল করে পূর্ণ মানের চেয়ে প্রাপ্ত মান বেশি দিয়ে থাকলে মেধাতালিকায় এমন ভুল হওয়া সম্ভব। তবে তালিকা প্রকাশের সময় আরও সতর্ক হওয়া উচিত বলেই মনে করেন তিনি।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর এমএড পাঠক্রমে ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, চার জন পড়ুয়া ১০০ নম্বরের মধ্যে যথাক্রমে ২০০, ১৯৮, ১৫১ এবং ১৪৬ পেয়েছেন। যা বাস্তবে অসম্ভব। এর পরই ওই মেধাতালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অভিযোগ ওঠে কারচুপিরও। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত মেধাতালিকায় এমন বড়সড় ত্রুটি কেন সেই প্রশ্নও ওঠে। এর পরেই মেধাতালিকা ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।