বিশ্বভারতী। —ফাইল চিত্র
তহবিল ফেরত চেয়ে কর্মিসভার সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকারকে আগেই শো-কজ করেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ বার সেই তহবিলে গরমিলের অভিযোগ তুলে, পূর্ণাঙ্গ হিসেব চেয়ে কর্মিসভাকে চিঠি দিতে চলেছেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘আমরা বাকি টাকা ফেরত চেয়ে ইতিমধ্যেই কর্মিসভাকে জানিয়েছি। টাকা ফেরত না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ।’’
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার গ্রন্থনবিভাগে বিশ্বভারতীর একটি গেস্টহাউস রয়েছে। নিমাইসাধন বসু উপাচার্য থাকাকালীন সময়ে গেস্টহাউস পরিচালনার দায়িত্ব কর্মিসভাকে দেওয়া হয়। তখন থেকে গেস্টহাউস থেকে প্রাপ্য টাকা কর্মিসভার অ্যাকাউন্টে জমা করার কথাও বলা হয়েছিল। সেই মতো গেস্টহাউসের দেখাশোনা করে আসছিল কর্মিসভা। বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীরা কলকাতা গেলে অনেকে এই গেস্টহাউসে থাকতেন। গ্রন্থনবিভাগের গেস্ট হাউসটিতে ৩টি ঘর রয়েছে। ৩টি ঘরে মোট ১৮টি শয্যা রয়েছে। এক দিনের জন্য শয্যাপিছু ৫০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে নানা কারণে কর্মিসভার সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সংঘাতের ক্ষেত্র তৈরি হয়। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া মেটানো সহ নানা দাবিতে কর্মিসভার নেতৃত্বে ১৮ দিনের কর্মবিরতিও চলে। এ সবের মাঝে চলতি বছরের জুলাই মাসে গেস্টহাউস পরিচালনার দায়িত্ব কর্মিসভার হাত থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেন। সেই সঙ্গে তহবিলের জমা টাকাও ফেরত চাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই তহবিলে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা। মঙ্গলবার ৯ লক্ষ ১৪৪ টাকা কর্মিসভার সদস্যেরা বিশ্বভারতীর হাতে তুলে দেন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন, বাকি ৫৩,৮৫৬ টাকা কোথায় গেল?
এ বিষয়ে কর্মিসভার কোষাধ্যক্ষ রবি কোনারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘এই ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না। যা বলার কর্মিসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলবেন।’’ সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কর্মিসভার সভাপতি গগন সরকারকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। জবাব মেলেনি এসএমএসের।