Mid Day Meal

মিড-ডে মিলে ‘পোকা’, বিক্ষোভে গ্রামবাসী

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে ওই কেন্দ্রটি চালু হয়। বর্তমানে এখান থেকে তিন জন গর্ভবতী, ২ জন প্রসূতি-সহ ৪৬ জন শিশুকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

  সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৪০
Share:

খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

মিড-ডে মিলে পোকা থাকার অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়ার রুদ্রনগর ৪১৮ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রের সামনে রান্না করা খাবারও ছড়িয়ে দেন।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা কেশব ঘোষ , সান্ত্বনা ঘোষেরা বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই পোকা ধরা চাল, ডাল দিয়ে রান্না করা হয়। রান্না করা খাবারে প্রতি দিনই পোকা ভাসতে দেখা যায়। কর্মীকে বলা হলেও কানে নেন না। উল্টে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।’’ কর্মী গীতা দত্ত অবশ্য দুর্ব্যবহার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘খাদ্যসামগ্রী রাখার উপযুক্ত জায়গা নেই। অথচ এক সঙ্গে ৫০-৬০ কেজি করে চাল-ডাল দেওয়া হয়। সে সব মাটির উপরেই রাখতে হয়। পোকা ধরে গেলে আমি কী করব? বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঝাড়াই-বাছাই করতেও পারি না। তবুও যতটা পারি পরিষ্কার করেদি।’’

প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে ওই কেন্দ্রটি চালু হয়। বর্তমানে এখান থেকে তিন জন গর্ভবতী, ২ জন প্রসূতি-সহ ৪৬ জন শিশুকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। কিন্তু আজও ওই কেন্দ্রের কোনও নিজস্ব বাড়ি তৈরি হয়নি। ভাড়ার একটি মাটির ঘরে পঠনপাঠন চলে। ওই ঘরেই রাখতে হয় খাদ্যসামগ্রী। নেই রান্নার জায়গাও। রান্না হয় এক গ্রামবাসীর গোয়ালঘরে। দীর্ঘদিন ধরে নেই সহায়িকাও। অস্থায়ী ভাবে স্থানীয় এক মহিলাকে টাকা দিয়ে রান্না করাতে হয়। গীতা বলেন, ‘‘ঘরের ভাড়া, অস্থায়ী সহায়িকার পারিশ্রমিক আমার ভাতা থেকেই মেটাতে হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।’’ বিডিও সুজনকুমার পাণ্ডে বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement