ধানাড়া পঞ্চায়েতে। নিজস্ব চিত্র।
স্কুলে শিক্ষক বা হাসপাতালে চিকিৎসকের বদলি আটকাতে এলাকার মানুষজনকে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। এ বারে এক নির্মাণ সহায়কের বদলি রুখতে পঞ্চায়েতে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার মানবাজার থানার ধানাড়া পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক গৌতম দাসের বদলি রুখতে ওই বিক্ষোভে স্থানীয় মানুষজনের পাশাপাশি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন দলের সদস্যরাও সামিল হন। ঘণ্টা চারেক বন্ধ থাকে পঞ্চায়েত।
এ দিন দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে দেখা গেল, অফিসের মূল গেটে তালা। তৃণমূল এবং সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যরা একসঙ্গে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমীর মণ্ডল, মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা সিপিএমের প্রবীর মণ্ডলরা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক গৌতম দাসের বদলির নির্দেশ এসেছে। আমাদের আশঙ্কা উনি চলে গেলে যে সমস্ত উন্নয়ন মূলক কাজ চলছে তা ব্যহত হবে। ওই প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আরও কয়েক মাস তাঁর বদলি স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছি।’’
এর আগে সরকারি এক আধিকারিকের বদলি রুখতে চেয়ে সাধারণ মানুষ সক্রিয় হয়েছিলেন এই জেলাতেই। রঘুনাথপুর-১ এবং পাড়া ব্লকের কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক (এডিও) ছিলেন জহরলাল ভৌমিক। দু’ বছরেই এলাকার চাষিদের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গ্রামে গ্রামে ঘুরে চাষের সমস্যার সমাধান করতেন। তাঁর পদোন্নতিকে বদলি ভেবে জেলা থেকে রাজ্য কৃষিদফতর অবধি দরবার করেছিলেন এলাকার চাষিদের একাংশ।
পরে বিডিও (মানবাজার ১) সত্যজিৎ বিশ্বাস পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিলে তালা খোলা হয়। এই ব্যাপারে গৌতমবাবুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।