হাঁড়ি, বালতি নিয়ে পানীয় জলের দাবিতে অবরোধ মহিলাদের। শনিবার, বোরোর সিমটুনি গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।
বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জলের কল থাকলেও তিন মাস ধরে জল সঙ্কট পোহাচ্ছে গোটা গ্রাম। বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই শনিবার দুপুরে পানীয় জলের দাবিতে রাস্তায় হাঁড়ি, বালতি রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করলেন পুরুলিয়ার মানবাজার ২ ব্লকের সিমটুনি গ্রামের দু’টি পাড়ার মহিলারা। মানবাজার-বান্দোয়ান রাজ্য সড়কে বেশ কয়েক ঘণ্টা অবরোধের জেরে ব্যাহত হয় যান চলাচল।
বিক্ষোভকারীদের একাংশের দাবি, গত তিন মাস ধরে গ্রামে পানীয় জল বন্ধ। প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে ট্যাঙ্কারে করে গ্রামে জল পাঠানো হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। অনেকে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “এই গরমে আরও বেশি করে জল প্রয়োজন। আর এই সময়েই জলের আকাল। যখনই খোঁজ নিই বলে পাইপ লাইন সারাইয়ের কাজ চলছে। সারা বছরে কি শুধু গ্রীষ্মেই পাইপ লাইনের কাজ চলে? তিন মাস ধরে আমরা জল পাচ্ছিনা। আর কত দিন ধরে চলবে পাইপ লাইন
সারাইয়ের কাজ?”
স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্লক সদর থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সিমটুনি গ্রামে বেশ কয়েক বছর আগে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ, সেই কল থেকে এক বিন্দুও পানীয় জল মেলে না। গ্রামের দু’টি নলকূপ থেকে লোহা যুক্ত দুর্গন্ধ জল বের হয়। বাধ্য হয়ে নদী থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয় মহিলাদের। এর আগেও কয়েক মাস আগে জলের দাবিতে বেশ কয়েক বার বিডিওর দফতরে গিয়ে লিখিত আবেদন দিয়েছিলেন গ্রামের মহিলারা। তবুও জলকষ্ট মেটায় ফের এ দিন বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে দাবি। এ দিন অবরোধ থেকে গ্রামের সমস্ত পাড়ায় সৌর চালিত নলকূপ বসানোর দাবি উঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোরো থানার পুলিশ। বেশ কয়েক ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। পরে দু’টি গাড়িতে করে পানীয় জল পাঠানো হয় গ্রামে।
এ নিয়ে বিডিও (মানবাজার ২) শঙ্কু বিশ্বাস বলেন, “পাইপ লাইন ঠিক করে জল দেওয়া হচ্ছে। জলের গতি ধীর হওয়ায় হয়তো জল কম পড়ছে। যে ক’দিন এই সমস্যা
থাকবে বেশ কয়েকটি
গাড়িতে করে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে গ্রামে।”