বধূর মৃত্যু, ১০ বছরের জেল

এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। সোমবার সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দাশ বলেন, “অভিযুক্ত তিন জনকে শুক্রবারই বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৬ ০১:১৭
Share:

এক বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত।

Advertisement

সোমবার সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দাশ বলেন, “অভিযুক্ত তিন জনকে শুক্রবারই বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী। এ দিন তাঁদের দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেই সঙ্গে বধুকে নির্যাতনের দায়ে তিন জনেরই দু’বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দু’হাজার টাকা জরিমানার (অনাদায়ে আরও তিন মাস সশ্রম কারাদণ্ড) সাজাও হয়েছে।’’ বিচারকের নির্দেশে সব ক’টি সাজাই একযোগে চলবে।

সরকারি আইনজীবী জানান, ২০১৫ সালে বোলপুরের কাছারিপট্টির সরস্বতীপল্লির বাসিন্দা দিলীপ দাসের মেয়ে রাজেশ্বরীর সঙ্গে লাগোয়া খাসপাড়ার বাসিন্দা প্রদ্যোৎ দাসের ছেলে গোপাল দাসের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই রাজেশ্বরীর উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই গত পয়লা জুলাই সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তার পরেই জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দিলীপবাবু। তদন্ত করে ওই চার জনের বিরুদ্ধেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ক ও ৩০৬ ধারায় চার্জ গঠিত হয়।

Advertisement

শুক্রবারের রায়ে যদিও অন্যতম অভিযুক্ত ননদকে বেকসুর খালাস করে বধূর স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি ছায়াদেবীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এ দিন সাজা শোনার পরে দোষী সাব্যস্তদের আইনজীবী সুশান্তকুমার চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, “আমার মক্কেলরা নির্দোষ। তাদের সর্বস্ব লুঠ হয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই বধূর বাপের বাড়ির দেওয়া সমস্ত জিনিসপত্র, সোনাদানা ফেরত দেওয়া হয়েছে।’’ নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর মক্কেলরা উচ্চ আদালতে আর্জি জানাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement