নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিল সিন্দরি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে। বিডিও (বরাবাজার) শৌভিক ভট্টাচার্য জানান, জটিলতা দেখা দেওয়ায় সমবায় সমিতির জেলা আধিকারিক ওই সমবায় সমিতির নির্বাচন নিয়ে কমিশনের নির্দেশ চেয়ে পাঠিয়েছেন।
বরাবাজার থানার সিন্দরি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনের জন্য ২২ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র তোলার দিন ঠিক করা হয়েছিল। ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ৪ ডিসেম্বর মোনয়নপত্র স্ক্রুটিনির সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অফিসে এসে নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবি জানান। গোলমাল বেড়ে চলায় পুলিশ এবং বিডিও (বরাবাজার) ঘটনাস্থলে আসেন। জটিলতা বাড়তে থাকায় ওই দিন স্ক্রুটিনি স্থগিত হয়ে যায়। ৪ জানুয়ারি বুধবার, দ্বিতীয় দফায় সমিতির অফিসে স্ক্রুটিনির কাজ শুরু হলে ফের গোলমাল বাধে। পুলিশ অফিস চত্বর মুড়ে ফেলে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সিন্দরি অঞ্চলের প্রধান বিশ্বজিৎ মাহাতোর অভিযোগ, সমিতির সদস্যদের নামের তালিকায় মৃত এবং এলাকায় থাকেন না এমন অনেক নাম রয়েছে। তাঁরা ওই সমস্ত নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সমবায় সমিতির কর্মীদের একাংশ দাবি না মানায় গোলমাল দেখা দেয়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্বচ্ছ তালিকা চেয়েছি।’’
সিপিএমের সিন্দরি অঞ্চল লোকাল কমিটির সম্পাদক সুদর্শন মাহাতোর অবশ্য অভিযোগ করেছেন, ওই সমবায় সমিতিতে তৃণমূলের সমর্থক কম রয়েছে। তাই হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় মিথ্যা অভিযোগ তুলে নির্বাচন স্থগিত করতে চাইছে শাসকদল।
সমিতির অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সমবায় সমিতিতে মোট সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৩২০০ জন। আসন সংখ্যা ৩২। দুই পক্ষ সব ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। দফতরের এক কর্মী জানান, বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন থেকে নাম প্রত্যাহারের শেষ দিন। নির্বাচন নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হবে তা জানতে চেয়ে কমিশনের নির্দেশ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও এগিয়ে রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।