প্রতীকী চিত্র
এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অপরাধে কুড়ি বছর কারাদণ্ড হল দুই অভিযুক্তের। সাজাপ্রাপ্তেরা হল, সাঁতুড়ি থানার দুমদুমি গ্রামের বাসিন্দা বছর কুড়ির নরেশ মুর্ম ও বিকাশ মুদি। সোমবার রঘুনাথপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় এই রায় দিয়েছেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী শিশির রায় জানান, ২০১৮ সালের ২০ জুনের রাতের ঘটনা। সাঁতুড়ি থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের বিয়েতে এসেছিল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানা এলাকার বাসিন্দা বছর বারোর ওই কিশোরী। রাতে ওই গ্রামেরই এক আত্মীয়া কিশোরী তাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। পথে গ্রামেরই কয়েকজন মিলে কুলটির ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। পরে কিশোরীর পরিবার তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। ঘটনার চার দিন পরে সাঁতুড়ি থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোরী।
সরকার পক্ষের আইনজীবী জানাচ্ছেন, ঘটনার দিনে যে আত্মীয়ার সঙ্গে কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, তাকে-সহ মোট আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাদের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনায় যোগসাজশের অভিযোগ ছিল ওই আত্মীয়া-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে। ওই ছ’জনের মধ্যে নরেশ, বিকাশ এবং তিন নাবালকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই সবাইকে পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করেছিল সাঁতুড়ি থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে দ্রুত চার্জশিট জমা দেওয়ায় তাদের জামিন হয়নি। সরকারি পক্ষের আইনজীবী জানাচ্ছেন, জেলবন্দি আবস্থাতেই বিচার চলেছে। তবে আত্মীয়া কিশোরী-সহ চার নাবালক, নাবালিকার বিচার চলছে অন্যত্র। এ দিন বিচারক গণধর্ষণ-সহ পসকো আইনের ছ’নম্বর ধারা আনুযায়ী নরেশ ও বিকাশের কুড়ি বছর কারাবাস এবং দশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি যে দু’জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণে সাহায্যের অভিযোগ ছিল, তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয় বিচার চলাকালীন। অন্য জনকে বিচারক এ দিন বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন। এ দিন চেষ্টা করেও আসামি বা তাদের পক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।