বাঁ দিক থেকে অর্কদীপ গোস্বামী ও টিপু সুলতান। —নিজস্ব চিত্র।
মাওবাদী সন্দেহে বীরভূমের বোলপুর থেকে গ্রেফতার করা দুই যুবককে তোলা হল খাতড়া আদালতে। ধৃতদের আট দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। রবিবার ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে বাঁকুড়ার বারিকুল থানার পুলিশ। বোলপুরের দু’টি পৃথক জায়গায় হানা দিয়ে টিপু সুলতান ওরফে মুস্তফা কামাল এবং অর্কদীপ গোস্বামী নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতদের থেকে মোট ৩১টি মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার মিলেছে। যদিও ধৃতরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।
ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের জন্য জমায়েত, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রস্তুতি, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ এবং সরকারি কাজের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী সন্দীপ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বিশদ তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।’’ টিপুর বাবা শেখ কামালউদ্দিনের দাবি, ‘‘হেনস্থার উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগে বোলপুরের বাড়ি থেকে আমার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওর সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও যোগ নেই।’’
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র টিপু সুলতানকে এর আগে ২০১৬ সালে বেলপাহাড়ি এবং ২০১৮ সালে গোয়ালতোড় থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। অপর ধৃত অর্কদীপকেও ২০১৮ সালে গ্রেফতার করেছিল গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। দু’টি ক্ষেত্রেই ওই দু’জনের বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগের অভিযোগ ছিল। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি বাঁকুড়ার বারিকুল থানা এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার সাঁটাতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন শিবু মুর্মু-সহ আরও এক সন্দেহভাজন মাওবাদী। সেই ঘটনায় টিপু এবং অর্কদীপের ‘সরাসরি’ যুক্ত থাকার ইঙ্গিত পেয়েছে পুলিশ।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের কথায়, ‘‘জঙ্গলমহলে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার দেওয়ার ক্ষেত্রে এই দুই ধৃতের ভূমিকা কী ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’