চিকিৎসাধীন: করিমপুরে আহতেরা হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
ফিউজ উড়ে চলে গিয়েছিল বিদ্যুৎ। ট্রান্সফর্মারের মেন নামিয়ে সেই ফিউজ ঠিক করা নিয়ে তাতল বোলপুরের করিমপুর। দু’পক্ষের সংঘাতে আহত হলেন দু’জন। আহতেরা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থানার অন্তর্গত বাহিরী পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের করিমপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। সেই সময় এলাকার কিছু বাসিন্দা লক্ষ্য করেন বিদ্যুৎ ট্রান্সফর্মারের ফিউজ উড়ে গিয়েছে। এর পরে নিজেরাই ট্রান্সফর্মারের মেইন সুইচ নামিয়ে ফিউজ বাঁধার চেষ্টা করেন। এ দিকে, রাতের বেলায় সুইচ নামিয়ে দেওয়ায় গোটা গ্রাম বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সে সময় উত্তরপাড়ার কিছু বাসিন্দা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবাদ করেন।
এলাকাবাসীর দাবি, তাতে লাগে রাজনীতির রং। কেন মেন নামানো হল, এই নিয়ে বাহিরী পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নজরুল মণ্ডলের গোষ্ঠীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান ওই গ্রামের তৃণমূল কর্মী কান্ত খাঁ-এর গোষ্ঠী। প্রথমে দু’পক্ষের তর্কাতর্কি, তার পরে হাতাহাতি শুরু হয়। কান্ত খাঁ-এর গোষ্ঠীর সাবির আলি খান ও কাবের আলি খান নামে দু’জন কর্মীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে নজরুল মণ্ডলের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। জখম অবস্থায় দু’জনকে মঙ্গলবার রাতেই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিমপুর গ্রামের বাঁধের পাড়ে মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
গ্রামবাসী মুখ খুলতে চাননি। গ্রামে গিয়েও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কারও দেখা মেলেনি। নতুন করে গ্রামে যাতে অশান্তি না ছাড়ায়, তার জন্য গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন বাহিরী পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের প্রধান শুভঙ্কর সাধু। তাঁর দাবি, ‘‘এই অঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। করিমপুরের ঘটনাটি গ্রামের বিবাদ। এই সঙ্গে তৃণমূলেরও যোগ নেই।’’ বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোনও পক্ষের তরফেই লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।