মুখোমুখি ধাক্কা দুই বাসের, জখম ২৫

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল-সাঁইথিয়া রুটের একটি এক্সপ্রেস বাস এ দিন সকালে আসানসোল থেকে সিউড়ি অভিমুখে যাচ্ছিল। সদাইপুর থানা এলাকার চিনপাইয়ের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে গ্রামে ঢোকার মুখেই মুখোমুখি ধাক্কা লাগে সিউড়ি থেকে খয়রাশোলের বাহাদুরপুরগামী একটি লোকাল বাসের সঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০১:৩১
Share:

দুর্ঘটনা। রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। জখম কমবেশি ২৫ জন।

Advertisement

বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে সদাইপুরের চিনপাইয়ের কাছে। এখানে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে দুটি বাসের মধ্যে। ২০ জনেরও বেশি জখম হন। অন্য দিকে, দুবরাজপুর পুরসভার দরবেশপাড়া লাগোয়া জাতীয় সড়কে দুটি মোটরবাইকের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হয় হেলমেটহীন এক মোটরবাইক আরোহীর। গুরুতর জখম হলেও হেলমেট থাকায় অন্য মোটরবাইক আরোহী প্রাণে বাঁচেন। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ফর্জউদ্দিন আলি ওরফে বুলেট। বাড়ি খয়রাশোলের ইদিলপুরে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল-সাঁইথিয়া রুটের একটি এক্সপ্রেস বাস এ দিন সকালে আসানসোল থেকে সিউড়ি অভিমুখে যাচ্ছিল। সদাইপুর থানা এলাকার চিনপাইয়ের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে গ্রামে ঢোকার মুখেই মুখোমুখি ধাক্কা লাগে সিউড়ি থেকে খয়রাশোলের বাহাদুরপুরগামী একটি লোকাল বাসের সঙ্গে। প্রত্যক্ষদর্শী ও জখম বাসযাত্রীদের দাবি, সময়ের থেকে দেরিতে চলছিল বলে আসানসোল-সাঁইথিয়া রুটের বাসটি বেশ জোরে চলছিল। উল্টো দিক থেকে বাসটি চলে আসায় আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। দুটি বাসের ২০ জনেরও বেশি যাত্রী জখম হন। প্রথমে স্থানীয়েরা, পরে পুলিশ এসে আহতদের সিউড়ি হাসপাতালে পাঠায়। সিউড়ি জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ জন ভর্তি রয়েছেন।
তিন জনের আঘাত গুরুতর। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দুবরাজপুর থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে খুব জোরে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন ফর্জউদ্দিন। তখনই উল্টো দিক থেকে আসা মোটরবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ। দু’জনই জখম হন। দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যেতে যেতেই মৃত্যু হয় ইদিলপুরের ওই বাসিন্দার। প্রত্যক্ষদর্শীদের আক্ষেপ, হেলমেটটা থাকলে হয়তো ছেলেটা বেঁচে যেত!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement