জাল নোটে সাত লক্ষ, রাস্তা থেকে গ্রেফতার ২

বৃহস্পতিবার ওই রাস্তায় নাকা তল্লাশি চলছিল। পুলিশের দাবি, দুপুরে বাঘমুণ্ডির দিক থেকে একটি ছোট গাড়ি এসে থামে। তল্লাশির সময়ে উদয়ের কাছে অত টাকা মেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলরামপুর শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

নকল নোট। ফাইল চিত্র।

প্রায় সাত লক্ষ টাকার জাল নোট-সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ল দু’জন। বৃহস্পতিবার বাঘমুণ্ডি-বলরামপুর রাস্তায় বলরামপুর থানা এলাকার সুরাইডি গ্রামের কাছে নাকা তল্লাশির সময়ে গাড়ি সমেত ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত উদয় কুমার ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার নিমডি থানা এলাকার হুটু গ্রামের বাসিন্দা। তবে বর্তমানে থাকে বলরামপুরের রাপকাটা গ্রামে। অন্য জন হিমাংশু মাহাতো। তার বাড়ি বলরামপুরের রুচাপ গ্রামে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) ধৃতিমান সরকার জানান, ধৃতদের থেকে ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ৩৪৫টি দু’হাজার টাকার নোট। ১৫টি পাঁচশো টাকার নোট। সবগুলিই জাল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ওই রাস্তায় নাকা তল্লাশি চলছিল। পুলিশের দাবি, দুপুরে বাঘমুণ্ডির দিক থেকে একটি ছোট গাড়ি এসে থামে। তল্লাশির সময়ে উদয়ের কাছে অত টাকা মেলে। জিজ্ঞাসা করায় জানায়, ব্যবসার টাকা। কিন্তু কোথা থেকে আনা হচ্ছে, নিয়েই বা যাওয়া হচ্ছে কোথায়— এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিল না সে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) জানান, এর পরেই পরীক্ষা করে দেখা যায় সমস্ত নোট জাল। তখন গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে।

মঙ্গলবার বলরামপুরের একটি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে টাকা জমা দিতে যাওয়া এক জনকে আটক করেছিল পুলিশ। তিনি জাল নোট জমা করছিলেন। পুলিশের কাছে দাবি করেন, সাপ্তাহিক হাটে গবাদি পশু বিক্রি করে নোটগুলি পেয়েছেন। এই ঘটনার পরে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, ঝাড়খণ্ড থেকে কোনও চক্র এ রাজ্যে জাল নোটের কারবার ফেঁদে থাকতে পারে।

Advertisement

অতিরিক্ত পুলিশ সপার বলেন, ‘‘এই এলাকা একেবারেই ঝাড়খণ্ড-ঘেঁষা। ধৃত দু’জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে, ঝাড়খণ্ড থেকেই তারা নোটগুলি নিয়ে আসছিল। এর পিছনে কোনও একটি চক্র কাজ করছে। সেই চক্রই জাল নোট এই রাজ্যে ঢুকে ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করছে।’’ তিনি জানান, ওই চক্রের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

তবে কোথা থেকে ধৃতেরা নোটগুলি আনছিল তদন্তের স্বার্থে তা জানাতে চায়নি পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement