বিসর্জন ঘিরে ধুন্ধুমার আদ্রায়

ধৃতদের মঙ্গলবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে জেল হাজত হয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আদ্রায় একটি বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বেশ কিছু লোক মত্ত অবস্থায় ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আদ্রা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৭ ০২:০৬
Share:

উল্লাস: কালী ভাসান দেখতে সোনামুখীর চৌমাথা মোড়ে ভিড় করলেন মানুষজন। বেঁধে দেওয়া সময়েই এল প্রতিমা। ছবি: শুভ্র মিত্র।

কালীপুজোর বিসর্জনকে ঘিরে ধুন্ধুমার ঘটল আদ্রায়। সোমবার রাতের ঘটনা। পুজো কমিটির অভিযোগ, পুলিশ বিনা প্ররোচনায় বিসর্জনের শোভাযাত্রার উপরে লাঠি চালিয়েছে। অন্য দিকে, পুলিশের পাল্টা দাবি, বিসর্জন থেকে পুলিশের উপরে পাথর ছোড়া হয়েছিল। পাথরের আঘাতে পুলিশের একটি গাড়ির কাচ ভেঙেছে। চোট পেয়েছেন কয়েকজন পুলিশ কর্মী। পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকেই পুজো কমিটির ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একটি গাড়ি, সাউন্ডবক্স আটক করা হয়।

Advertisement

ধৃতদের মঙ্গলবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে জেল হাজত হয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আদ্রায় একটি বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বেশ কিছু লোক মত্ত অবস্থায় ছিল। থানার সামনে শোভাযাত্রা থামিয়ে নাচানাচি করছিল। পুলিশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিসর্জন সারতে বলায় শোভাযাত্রা থেকে পাল্টা পুলিশকে আক্রমণ করে পাথর ছোড়া হয়। ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” লাঠি চালানোর অভিযোগ মানতে চাননি তিনি।

আতসবাজিও জ্বলল। কিন্তু শব্দবাজিতে কান পাতা দায় হয়। ছবি: শুভ্র মিত্র।

Advertisement

এ বছর যাতে বিধি মেনে কালীপুজোর বিসর্জন হয়, সে জন্য প্রথম থেকেই কড়া অবস্থান নিয়েছিল আদ্রা থানার পুলিশ। বিসর্জনের নির্দিষ্ট সময়ের পরেও শব্দবিধি ভেঙে বিসর্জন হচ্ছে, এই অভিযোগ পেয়ে রবিবারই তিন জায়গা থেকে ডিজে-সহ প্রায় ২৫টি সাউন্ড বক্স আটক করেছিল আদ্রা থানার পুলিশ।

রাত ১০টা কি বড়জোর ১১টার মধ্যে বিসর্জন শেষ করার জন্য সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফে। আদ্রা থানার পুলিশের দাবি, সোমবার রাতে পলাশকোলা এলাকার বড়কালী পুজো কমিটির কিছু লোক রাত ১০টার মধ্যে বিসর্জন শেষ করতে রাজি হয়নি। গভীর রাতে তারা বিসর্জন করবে বলে দাবি তুলেছিল। পুলিশ তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিসর্জন সেরে ফেলতে বলায় বিসর্জনের শোভাযাত্রা থেকে পুলিশ কর্মীদের উপরে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।

আদ্রা থানার সামনে ভাঙা গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

অন্য দিকে, ওই পুজো কমিটির দাবি, তারা বিকেল ৫টার মধ্যেই মন্দির থেকে প্রতিমা বের করে শোভাযাত্রা নিয়ে আদ্রার বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে রাত দশটার মধ্যে থানার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। বিসর্জনের জন্য একটু বাড়তি সময় চাওয়া হয়েছিল পুলিশের কাছে। পুলিশ না শুনে বিসর্জনের শোভাযাত্রার উপরে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ,

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আদ্রা থানার সামনে ওই পুজো কমিটির লোকজন বিসর্জনের শোভাযাত্রা থামিয়ে তারস্বরে মাইক বাজাতে শুরু করেছিল। পুলিশের কথায় সরে গেলেও তাদের শোভাযাত্রার উপরে পুলিশ অন্যায় জুলুম করছে অভিযোগ তুলে জনা পঞ্চাশেক লোক এসে থানার দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করে। তারপরেই পুলিশ শোভাযাত্রার উপরে লাঠি চালায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement