ধর্মঘটের সমর্থনে বাইক মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
বন্ধের মিশ্র প্রভাব দেখা গেল পুরুলিয়া জেলা জুড়ে। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধের সমর্থনে মিছিল বার হয়। কোথাও কোথাও কিছু দোকান বাজার কারখানা খোলা থাকলেও বেশির ভাগই ছিল বন্ধ। বন্ধ ব্যর্থ করতে তৃণমূলের কোনও তত্পরতা দেখা না গেলেও বলরামপুরে বাইক মিছিল করে বিজেপি।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় দু’একটি সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও বেসরকারি বাসের দেখা মেলেনি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক পেট্রোল পাম্প পোস্ট অফিসও বন্ধ ছিল। পুরুলিয়া শহর ঝালদা, রঘুনাথপুর, বান্দোয়ান, মানবাজার, বাঘমুন্ডি, বলরামপুর সর্বত্রই দোকানপাট ছিল বন্ধ। তবে কিছু এলাকায় সব্জি মাছের বাজার খোলা ছিল।
সকাল থেকেই পুরুলিয়ার ২০টি ব্লকে দফায় দফায় ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বার হয়। জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়ের দাবি, “মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন।” পুরুলিয়া শহরে প্রদীপের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। বরাবাজারে আর একটি বাইক মিছিল করেন বন্ধ সমর্থকরা।
সকালে কিছুক্ষণের জন্য পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে রঘুনাথপুরে অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থকরা। রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকার বেশ কিছু কল কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। তবে বহু কল কারখানা চালুও থেকেছে।
ধর্মঘট ব্যর্থ করতে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি শাসকদল তৃণমূলকে। তবে বলরামপুরে ধর্মঘট বিরোধিতায় একটি বাইক মিছিল করে বিজেপি। সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির খবর নেই জেলায়।